সুন্দরগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুর বউকে নিয়ে পলাতক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪০ অপরাহ্ন, ২রা জুন ২০২৩


সুন্দরগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুর বউকে নিয়ে পলাতক
বন্ধু আঙ্গুর মিয়া ও স্ত্রী তাহমিনা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। 


প্রবাসী স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে বাবার বাড়ী থেকে পলাতক স্ত্রী। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও ইরাক প্রবাসী সফিউলের স্ত্রীর খোঁজ এখনো মেলেনি। 


ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের দক্ষিন মরুয়াদহ গ্রামে। প্রবাসী সফিউল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ আলীর পুত্র। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সফিউল ইসলামের সঙ্গে  ১১ বছর পূর্বে স্ত্রী তাহমিনার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।

 

তাদের সংসার জীবনে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তানও আছে।  বিয়ের ৭ বছর পর জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে রেখে সফিউল ইরাক চলে যায়।


এই সুযোগে তাহমিনা বেগম তার স্বামীর বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন সময় স্ত্রী তাহমিনা স্বামীর পরিবারের কথা অমান্য করে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। 


স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে কয়েকবার বাড়ীতে ফিরিয়ে আনা হয়। তাকে এরখম কর্মকান্ড যেনো আর না করে সাভাবীক জীবন যাপনে ফিরিয়ে আছে যে জন্য তাকে বলা হয়।

 

আঙ্গুর মিয়া ওই গ্রামের মৃত. ফজলার রহমানের পুত্র। আবারও  ২৬ মে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ী থেকে তাকে খুজে পাওয়া যায় না। 


পরে জানতে পারি সে তার প্রেমিক আঙ্গুরের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছি না। তাহমিনা উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জহরুলের মোড় গ্রামের ফরিজল মিয়ার কন্যা। 


ঘটনার সত্যতা শিকার করে তাহমিনার বাবা ফরিজল হক  জানান, এক বছর থেকে এই ঘটনা জানতে পরি, আমার মেয়েকে অনেক বুঝিয়েছি এর আগেও একবার আমার বাড়ী থেকে ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলো,  আবারও নিজের সন্তার ফেলে রেখে আমার বাড়ী থেকে ঐ ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এখন আমি ছেলের পরিবারে কি জবাব দিবো। 


প্রবাসী সফিউল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম গত দুইবছর পূর্বে জমি কেনার কথা বলে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে নিয়েছে।  আমার সংসার জীবন ১১ বছরে কখনো ভাবিনি আমার স্ত্রী এমন ধরনের কাজ করতে পারবে। তবে আঙ্গুর আমার ছোট বেলার বন্ধু হয়ে আমার এতো বড় ক্ষতি করবে আমি তা কখনো ভাবতে পারিনি। 


এবিষয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধায় প্রবাসী সফিউল ইসলামের বড় ভাই হাবিবুর রহমান থানায় হাজির হয়ে তাহমিনার বিরুদ্ধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানোর অভিযোগ করেন।


থানা অফিসার ইনচার্জ কে.এম আজমিরুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরএক্স/