আদা, রসুন ও মসলার দাম চড়া, কমেছে না আতপ চালের দাম


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৩


আদা, রসুন ও মসলার দাম চড়া, কমেছে না আতপ চালের দাম
মসলা

পঞ্চগড়ে কমছেনা সুগন্ধি আতপ চালের দাম। সব এলাকার মতো পঞ্চগড়ে ও আতপ চালের দাম বেড়েছে। এই সুগন্ধি চাল বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুন দামে। শহর-বন্দর বা গ্রামে ভাতের পাশাপাশি এই আতপ চালের পোলাওয়ের কদর বেশী। তবে মোটা আতপ অনেকেই কিনতে পারলেও চিনিগুড়া নামে পরিচিত ও মান সম্মত আতপ চাল কিনতে পারছেনা নিম্মবিত্ত ও কম আয়ের মানুষ। তবে প্যাকেটজাত কাঠারি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা। খোলা বিক্র হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা।


এদিকে খোলা চিনিগুড়া ১২০ টাকা থেকে ১২৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে আদার দাম প্রতি কেজি আদা ৩০০ টাকা কেজি। রসুন ১৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। বেড়েছে মসলার দামও। জিরা প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা কেজি।সাদা এলাচ ২১০০ টাকা থেকে ১৭০০টাকা কেজি।


বিয়ের অনুষ্ঠান, বাড়ীতে মেহমানদারিতে একটু আতপের পোলাওয়ের স্বাদ অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু এই ভিন্নস্বাদের চালের দাম এখন আকাঁশ ছোয়া। জনসচেতন মহলের  মতে বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে একশত টাকা কেজির চাল এখন একশত চল্লিশ টাকায় নিয়ে গেছে।সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এখন প্যাকেটজাত চিনিগুড়া আতপ একত পয়ত্রিশ টাকা থেকে একশত চল্লিশ দর দিয়ে বাজারে সরবরাহ করছেন। গত ২০২১ সালের পর থেকেই হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে এই চালের দাম। প্রাণ, ফ্রেশ, চাষী সহ পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের আতপ চাল উৎপাদনকারী সকল ব্যবসায়ীরা তাদের পরিচিত ব্যান্ডের আতপ চাল এখন একই দরে বিক্রি বা সরবরাহ করছেন।


পঞ্চগড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্যাকটেজাত এককেজির চিনিগুড়া আতপ এখন একশত চল্লিশ টাকা থেকে একশত পয়ত্রিশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে দোকানে। খোলা চিনিগুড়া প্রতিকেজি এখন একশত পচিশ থেকে একশত ত্রিশ টাকা। মোটা আতপ প্রতি কেজি আশি টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।গালামাল ব্যবসায়ী হাসিবুল জানান, আগে এই প্যাকেটজাত চিনিগুড়া এক কেজি একশত ত্রিশ টাকার উপড়ে। এখন নতুন চাল বাজারে আসছে ,এখন দাম কমবে।পঞ্চগড়ে সাধারন ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ পুলক বলেন এসব মিল ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা সুগন্ধি চাল মুজুত করে বাজার বাড়িয়েছে।পঞ্চগড় সদর উপজেলার গলেহার আইয়ুব আলী বলেন ‘ একশত চল্লিশ টাকা দিয়ে আতপ খাওয়া সম্ভব না। বেশী হলে মোটা আতপ দিয়ে চালিয়ে দিতে হবে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এদিকে প্যাকেটজাত কাঠারি প্রতিকেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রিও হচ্ছে। খোলা কাঠারি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি। 


এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব মাছের দাম বেড়েছে। রুই,মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ ৮০০ টাকা কেজি। শাটি ও পুঠি মাছ ৪০০ টাকা কেজি। কমেছে বয়লার মুরগীর দাম বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০ ও দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি।


আরএক্স/