২ হাজার কোটি টাকা পাচার:
আদালতের হাজতখানায় অসুস্থ বাবর, নেওয়া হলো হাসপাতালে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২২ অপরাহ্ন, ৫ই জুলাই ২০২৩
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালতের হাজতখানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বুধবার (৫ জুলাই) মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজত খানার ইনচার্জ সাদিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ৯টায় কেরানীগঞ্জ জেলখানা থেকে অন্য আসামিদের সঙ্গে এ মামলার আসামি বাবর ও এএইচএম ফুয়াদকে আদালত চত্বরে আনা হয়। এরপর তাদেরকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি (বাবর) অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পেলেন এস এম মুনীর
উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে গত ২২ জুন এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। আজ এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসংগতি দেখতে পাওয়ায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৭ জনকে আসামি করে মোট ৪৭ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় সিআইডি।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার হওয়া ‘ধাক্কা পার্টি’র ৪ সদস্য কারাগারে
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী , ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
উল্লেখ্য, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
জেবি/এসবি