সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১২ হাজার মানুষ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৫ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৩


সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১২ হাজার মানুষ
ছবিটি জামালপুরের মাদারগঞ্জ থেকে তোলা। জনবাণী

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১২ হাজার মানুষ সেতু না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন। নৌকায় নদী পার হতে দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসীর অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই স্থায়ী সমাধান হিসেবে একটি সেতু চাই তাদের। 


উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছেন। সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছে ১২ হাজার মানুষ।


ফোলারপাড়া নদীর ওপর সেতু না থাকায় এতদিন নৌকায় পারাপার হতেন জোড়খালী ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়নের অন্তত ১২ হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা।


স্থানীয় বাতেন, সোলাইমান আবদুল সালাম, বিদ্যুৎ, মনির মাষ্টার বলেন, সামনে বর্ষা চতুর দিকে পানি আর পানি থাকবে চরম অসুবিধা পড়তে হবে, তাই আমরা এই উদ্যোগ হাতে নিয়ে মাটিকাটা শুরু করেছি। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়ড়া বাজারে আমতলী থেকে ফোলারপাড়া পর্যন্ত আরও দুই জায়গায় গতবছর বন্যায় রাস্তা ভেঙে অনেক গর্ত হয়ে যায়। বর্তমানে নিজেদের উদ্যোগে সমস্ত গ্ৰামবাসী আরও ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেছেন।


আরও পড়ুন: সেতুর অভাবে লক্ষাধিক মানুষের চরম ভোগান্তি


সম্প্রতি নিজেদের অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর ওপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করেছেন এলাকাবাসী। তবে, বর্ষা মৌসুমে তা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 


তারা জানান, দীর্ঘ ভোগান্তির স্থায়ী সমাধান হবে পাকা সেতু নির্মাণ হলে।


বৈরী আবহাওয়ায় নদী পার হতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে না। দিনে দিনে এ কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে বলে মনে করেন শিক্ষকরা।


উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়ন ও ৫ নং জোডখালী ইউনিয়ন এলাকার পাটাদ‌হ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, এই নদীর উপরে ব্রিজ না থাকায় এলাকার কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় যাতায়াত করতে পারছে না। এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আমি দাবি জানাচ্ছি।


আব্দুল সালাম বলেন, এক মহিলা কিছুদিন আগে এই ব্রীজটি মেরামত করার পূর্বে পিছলে পড়ে গিয়ে সামনে দুটি দাঁত ভেঙে যায় ও গুরুতর আহত হন।


বিষয়টি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছে উপজেলা প্রশাসন। এ জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিলিশায় রিছিল।


তিনি বলেন, ফোলারপাড়া নদীর উপর একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাছাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।


জেবি/ আরএইচ/