লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসা
হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই সুপার উধাও
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:১১ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদরাসার সুপার ও সহকারী শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই লোকজনের রোষানলে পড়ার ভয়ে আজিজুর রহমান সুপার মাদরাসায় এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই তড়িঘড়ি করে চলে যান।
গত দুইদিন ধরে এই চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসায়। এদিকে সুপারের বিরুদ্ধে ইউএনও অফিসে অভিযোগ দাখিল করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অপেক্ষা করছে অভিভাবক ও শতশত এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. মো. আজিজুর রহমান ও সহকারী শিক্ষিকা মোছা. ফরিদা আক্তার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হোটেল মোটেলে গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতেন। এলাকাবাসী তাদেরকে বাধা নিষেধ করার পরেও তারা তোয়াক্কা করেনি।
গত ১৮ জুন সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা আক্তার তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে সুপারের সাথে তার অন্তরঙ্গ আপত্তিকর বেশ কয়েকটি ছবি পোষ্ট করার পর তা ভাইরাল হলে পুরো এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই সময় এলাকাবাসী মাদরাসা ঘেরাও করার উদ্যোগ নিলে সুচতুর সুপার ও সহকারী শিক্ষকা কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে শোনা গেল ঘটনা সৃষ্টিকারী সুপার ও সহকারী শিক্ষিকা ঈদুল আজহা পর্যন্ত সাধারণ ছুটি নিয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর গত ৪ জুলাই এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ সুপার ও সহকারী শিক্ষিকার শাস্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে তদন্তের অপেক্ষা করছে।
এরই মধ্যে গত রবিবার (৯ জুলাই) মাদরাসা খোলার পর থেকে জনগণের রোষানলে পড়ার ভয়ে সুপার আজিজুর রহমান তার স্ত্রী, কন্যা, ভাইসহ লোকজন সাথে নিয়ে মাস্তানী স্টাইলে মাদরাসায় ঢুকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই চলে যান। যার ফলে সুপারের এমন আচরনে অভিযোগকারীদের মাঝে আরো উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে।
অভিযোগকারী শাহাজাদা মন্ডল বলেন, সুপার আজিজুর রহমারের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী এবং ভুয়া সনদপত্র দিয়ে কম্পিউটার শিক্ষক গোলাম মোস্তফা মন্ডল ওরফে আবু এহিয়াকে নিয়োগদানে সার্বিক সহযোগিতা করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা তার শাস্তি চাই। সেই সাথে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করা শিক্ষিকা ফরিদা আক্তারেরও শাস্তি কামনা করছি।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে মাদরাসার সুপার মাও. আজিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাংবাদিকের ফোন রিসিভট করেননি। ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউএনও আমাকে সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমি তার বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারি তা আমার জানা নেই। আমি আগে এই বিষয়টি ইউএনও স্যারের সাথে শেয়ার করে আপনাদেরকে জানাচ্ছি।
জেবি/ আর্