Logo

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
১৩ জুলাই, ২০২৩, ২৪:৫১
19Shares
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়েছে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন্স সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে

বিজ্ঞাপন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়েছে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের  পপুলেশন্স সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দিবসটি উপলক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিলে ১৯৮৯ সালে  জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরী মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।

বিজ্ঞাপন

১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবারের মতো ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হয়। তারই ধারবাহিকতায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করছে। 

বিজ্ঞাপন

এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘জেন্ডার সমতাই শক্তি : নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’।

দিবসটি উপলক্ষ্যে দুপরে নজরুল  বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চ থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবারই কোন না কোন প্রতিপাদ্য থাকে, এবারো তার কোন ব্যতয় নেই। এবারের প্রতিপাদ্যে জেন্ডার সমতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জনসংখ্যাকে জনশক্তিকে রুপান্তর করার ব্যাপারটি উন্নত বিশ্বে বারবার দৃষ্টান্ত হয়ে এসেছে। আমরা যারা  এখনো উন্নত বিশ্বের কাতারে নিজেদের নাম লেখাতে পারিনি, বিশেষ করে মানসিকতার দিক থেকে এখনো পশ্চাৎপদ, গোড়ামি নির্ভর, ধর্মীয় কূপমন্ডুকতার মধ্যে অবস্থান করছি এসব দেশের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ে নানা রকমের বিভ্রান্তি প্রচলিত আছে।

বিজ্ঞাপন

ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, কন্যা শিশু নিয়ে আমাদের মনের মধ্যে নানাভাবে একধরনের বৈষম্য কাজ করে। পিতা তার পুত্র ও কন্যার মধ্যে দেখা যায় পুত্রের প্রতি বেশি স্নেহশীল । সম্পদ থেকে শুরু করে সামাজিকভাবে ধর্মীয়ভাবে পুরুষের সাথে নারীদের সমঅধিকার নেই। এমনকি অনেকে ভ্রুণ হত্যাও করে ফেলে। এসব অন্ধবিশ্বাসকে আমাদের উপেক্ষা করতে হবে। 

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য বলেন, আধুনিকতার বীজমন্ত্র হচ্ছে নারী পুরুষ সমান। তাদের মেধাই হচ্ছে মূল কথা। সারা পৃথীবিতে নারী ও পুরুষ একসাথে বসে কাজ করে। তাদের মেধা দিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। আমাদের দেশেও আমরা এমনটাই চাই। কন্যা শিশু পুত্র শিশু থেকে কোন অংশেই কম নয়-এই চেতনাটিকে আমাদের জাগ্রত করতে হবে। 

পপুলেশন্স সায়েন্স বিভাগের লেখাপড়ার মধ্যে এই আধুনিক চেতনা আনার তাদিগ দেন উপাচার্য। তিনি বলেন, কে নারী, কে পুরুষ কে তৃতীয় লিঙ্গ সেটি বড় কথা নয়, কারণ এটি দিয়ে তার যোগ্যতা নির্ধারণ হয় না, দক্ষতা নির্ধারণ হয় না বরং এখানে মানবশক্তি গুরুত্বপূর্ণ। 

বিজ্ঞাপন

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানসহ বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ অন্যরা। জয়ধ্বনি মঞ্চ থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বিজ্ঞাপন

আরএক্স/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD