সুন্দরবনে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে চলছে মাছ শিকার


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:২৪ অপরাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৩


সুন্দরবনে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে চলছে মাছ শিকার
সুন্দরবন

সুন্দরবনের ভিতরে একদল অসাধু জেলে গাছ পুড়িয়ে কীটনাশক ও নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে  শুঁটকি তৈর করছে সুন্দরবনের ভেতরে। এতে ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের সংরক্ষিত গাছপালা ও পরিবেশের। ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।


সুন্দরবনের গভীরে গাছ কেটে জায়গা তৈরী  করে অবৈধভাবে গড়ে তুলছে  শুঁটকির ডিপো (খোটি)। সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই একশ্রেণির অসাধু জেলে বনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে চিংড়ি ধরছেন। 


এতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বনের পরিবেশও জীববৈচিত্র্যের ওপর। বন্য প্রাণী এবং নদী-খালের মাছের বিচরণ ও প্রজন্ন  সুরক্ষায় গত ১ জুন থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাশ পারমিট  বন্ধ করে বন বিভাগ চলবে তিন মাস ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। 


এর মধ্যে সম্প্রতি বনের পাতকোষ্টা, ভোমরখালী, পাশাখালী, গেয়ওয়খালী, মার্কি, আদাচাকি ও ভদ্রা এলাকায় অবৈধ কয়েকটি চিংড়ি শুকানোর স্থান চিহ্নিত করে তা উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ। 


সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলার মঠবাড়ি, ৪নংকয়র,৫নংকয়রা ৬নংকয়রা কাঠকাটা শাকবাড়িয়া এলাকার কয়েক জন জেলে সাথে কথা হলে বলেন প্রজন্ম সময় বলে সুন্দরবন তিন মাস বন্ধ করে বন বিভাগ কিন্তু এলাকার প্রভাব শালী বেক্তি ও বন বিভাগ এ-র কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে সুন্দরবনে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করে এনে কয়রা মাছের আড়ৎ ও পাশের থানা শ্যামনগর মাছের আড়তে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে সুন্দরবনের পাশ পারমিট দিলে জেলেরা আশনো রুপ মাছ পাবেনা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।   


এর আগে কয়রার বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের চিংড়ি শুকানোর কারখানা(খোটি) ছিল। গত দুই বছরে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০টি খোটি উচ্ছেদ করেছে। এর পর থেকে বনের ভিতরে  চিংড়ি শুকানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে  অসাধু জেলেরা।


এছাড়া গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা গেছে প্রতিদিন কয়রা সদরের সুন্দরবন তীরবর্তী এলাকা থেকে বনের চিংড়ি মাছ কয়রা মাছের আড়তে বিক্রি হচ্ছে।  


খুলনা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক এ জেড এম হাসানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন হোসেন বলেন, জেলে ও দুর্বৃত্তদের নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টহলও বাড়ানো হয়েছে। 


অবৈধ কাজে বন বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরএক্স/