আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিলেন পরীমনি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪০ অপরাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৩
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়েছেন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে পরীমনির পক্ষে হাজিরা দেন তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী রিফাত।
এদিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।এদিন আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ শুনানির জন্য আদেশ আছে বলে আদালতে জানান।এছাড়া অপর দুই আসামি আদালতে হাজিরা দেন। এরপর আদালত পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
গত ৯ জানুয়ারি পরীমণির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচাপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দেন।
এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে পরীমণির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ২ জুন আদালত পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস জব্দ করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৫ লাখ খরচ করে ছেলের জন্মদিন পালন করলেন পরীমনি
পরদিন গত ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমণিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাজ চলে গেল রাজের মতো: পরীমনি
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
পরীমণি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।
জেবি/এসবি