স্বামীকে দোষী করে 'স্যার' এর পক্ষ নিয়ে আলোচনায় কে এই সানজিদা?
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:২৯ অপরাহ্ন, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৩
এডিসি হারুনকাণ্ড নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে রীতিমতো বরখাস্ত হয়েছেন এডিসি হারুন। ঘটনাটি নিয়ে যখন জোড় আলোচনা চলছে ঠিক তখনই সামনে আসে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপার নাম।
সানজিদাকে ঘিরে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সানজিদা। তবে সবার প্রশ্ন হলো- কে এই সানজিদা।
সানজিদা বলেন, ‘শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই। সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়। আমি ইসিজি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটায় দেখতে পাইনি।’
এডিসি হারুনকে কে হাসপাতালে ডেকেছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’
আরও পড়ুন: সানজিদা অনুমতি ছাড়া মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারেন না: ডিএমপি কমিশনার
সানজিদা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত এবং ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী।
সানজিদা আফরিনের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের নাগদা শিমলা ইউনিয়নে। এম হোসেন আলীর মেয়ে। তার বড় বোন পেশায় একজন ডাক্তার।
২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন সানজিদা। এর পর ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন সানজিদা। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগদান করেন। উল্লেখ্য, এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।
এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: আমার স্বামীই হারুন স্যারকে প্রথমে মারধর করেছে: এডিসি সানজিদা
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ- পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।
পুলিশ সূত্র জানায়, এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।
এ বিষয়ে সানজিদা বলেন, ‘শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়। আমি ইসিজি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটায় দেখতে পাইনি।’