মুন্সীগঞ্জের উৎপাদিত কপি চারা বিক্রি হচ্ছে সারাদেশে
🕐 প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

কপি চারা বিক্রি
মুন্সীগঞ্জের উৎপাদিত উন্নতমানের কপি চারা বিক্রী হচ্ছে সারাদেশে। কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় বেড়ে উঠা এ সমস্ত শীতকালীন সবজি, কপির চারা একদিকে যেমন স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা মিটাচেছ সেই সাথে বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্নস্থানে ।
কপি চারা রোপণের ২১ দিনের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয় আর স্বল্প সময়ে এ ব্যাবসা লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় যোগের পর যোগ ধরে টিকে রয়েছে কয়েকশত পরিবার ।
ভাদ্র মাস আসলেই শুরু হয় এ কপি চারা উৎপাদন যা চলে কার্তিক মাস পর্যন্ত। এখান হতে চারা নিয়ে রোপণ করা কপি চারাগুলো শীত মৌসুমে পূর্ণাঙ্গ রূপ নিয়ে এই কপি বিক্রি হবে খুচরা বাজারে। মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার প্রায় ১৩.০৫ হেক্টর জমিতে এ বছর চারা উৎপাদন হচ্ছে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে।
সরেজমিনে, মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি কপির বীজতলা ঘুরে দেখা গেছে, কপির চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কপি চারা চাষিরা। তবে বীজ সংকটে এবার ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। অন্যান্য বছরের তুলনায় বীজের দাম অনেকটা বেশি হওয়ায় হতাশ কপি চারা উৎপাদনকারীরা। কপি চারাকে রোদ ও বৃষ্টি হতে রক্ষার জন্য চারার উপরে ছাউনি দিয়ে চারা ঢেকে দিতে হয়। আবার একটু বৃষ্টিতেই কপি চারা নষ্ট হয়ে যায় তাই কপি খেতের পাশেই ছোট খুপরি ঘর তৈরি করে ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন চারা উৎপাদনকারীরা।
চারা চাষীরা বলেন, মুন্সীগঞ্জে স্থানীয়দের বীজের পাশাপাশি জাপান এবং চীন হতে আসা বীজ দিয়ে কপি চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। দেশী জাতের চেয়ে বিদেশী জাতের কপি চারার চাহিদা অনেক বেশি। তবে এ বছর বীজের দাম অনেক বেশি সবচেয়ে চাহিদার বীজ জাপানি ফ্রেশ এখোন বাজারে নেই বললেই চলে। এককেজি বীজের দাম দেড় লক্ষ টাকা। গতবছর এ বীজের দাম ছিল ৭০,০০০ টাকা। বিদেশি সমস্ত বীজের কেজি ৪৫ হাজার টাকা থেকে ১লক্ষ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মুন্সীগঞ্জে সাধরানত উৎকৃষ্ট বীজ থেকে চারা উৎপাদন করায় এই চারার মান অনেক ভালো হয়ে থাকে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কেপিরবাগ, ভট্টাচার্যের বাগ, দেওয়ানবাজার, রামসিং, কালচি পাড়া, দেওসার , রামপাল, ধলাগাওঁ, সিপাহিপাড়া এলাকায় পাশের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাইকপাড়া, আবদুল্লাহপুর, সোনারং টঙ্গিবাড়ী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় এই চারা উৎপাদিত হয়ে থাকে।
সদর উপজেলার কেবিবাগ এলাকার কপিচাষীরা বলেন,অন্যান্য বছর যে পরিমাণ জমিতে চাষ করি এবার তার তিন ভাগের এক ভাগ জমিতে চাষ করছি। বাজারে বীজ পাচ্ছিনা। বীজের জন্য ঘুরছি অপেক্ষায় আছি জমি তৈরি করে রেখেছি বীজ পেলেই পূর্নদমে চাষাবাদ শুরু করবো।
গ্রামের চাষীরা বলেন, এক কেজি জাপানি ফ্রেশ বীজের দাম ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এক পিছ দানার দাম পরে দেড় টাকা। এক কেজি বীজ ভালো গজালে এক লক্ষ চারা হবে। সে হিসাবে একপিস চারার দাম পরে দেড় টাকা। অন্যান্য বছর আমরা সাধারণ ৭০-৮০পয়সায় প্রতি পিছ চারা বিক্রি করতাম। অথচ এ বছর একপিছ চারা উৎপাদন করতে খরচ পরছে দেড় টাকা।
কপি চারা উৎপাদন শ্রমিক সফিক বলেন, ৩ মাস চারা উৎপাদনের কাজ করি। প্রতিমাসে ২৫,০০০টাকা বেতনে কাজ করি। এ কাজে অনেক পরিশ্রম। দিন রাত চারা পর্যাবেক্ষনে রাখতে হয়। রোদ বৃষ্টিতে চারা নষ্ট হয়ে যায়। কেবল সুর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় চারাকে রোদ খাওয়াতে হয় । বাকি সময় ঢেকে রাখতে হয়।
সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসাইন বলেন, শীতকাল সামনে রেখে দেশী জাতের কার্তিকা, আইট্টা, কেটে, ষাইটশা ও চালানি ষাইটশা জাতের কপির চারা উৎপাদন হয় এখানে। অন্যদিকে শীতের শুরুতে তাইওয়ান, জাপানিজ জাতের (হাইব্রিড) কপিচারা উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে সিরাজি, হেমাজি, ফ্রেশ, ¯নো হোয়াইট, লিনজা।দেশী জাতের দানার তুলনায় বিদেশি জাতের দানার দাম কয়েকগুণ বেশি। ফলে এর উৎপাদন ব্যয়ও বেশি। অন্যদিকে বিদেশি হাইব্রিড জাতের কপি দেখতে হৃষ্টপুষ্ট হলেও দেশী জাতের কপি খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা ক্রেতা পর্যায়ে বেশি। কপির দানা থেকে চারা উৎপাদনের প্রক্রিয়া অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পন্ন করতে হয়। এ সময় আবহাওয়ার তাপমাত্রা ওঠানামা করলে রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি থাকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, এই মৌসুমে মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় কপিচারাসহ বেগুন টমেটোর চারা উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে এ জেলায় খুব উৎকৃষ্ট মানের কপি চারা উৎপাদন হয় যা সারাদেশে বিক্রী হয়ে থাকে । মূলত এ বছর আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ১৩.০৫ হেক্টর জমিতে কপিচারাসহ অন্যান্য চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এ জেলায় প্রচুর উর্বর কৃষি জমি থাকায় কৃষক সকল মৌসুমেই বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদন করে থাকেন। তবে কপির চারা এটি ‘মুন্সীগঞ্জ স্পেশাল’। দেশের কোথাও এই চারা এমনভাবে তুলতে পারে না। কারণ স্পর্শকাতর এই চারা তোলা এক বিশেষ যোগ্যতা। তাছাড়া মাটি ও আবহাওয়া একটি বিষয়।
মাঠকর্মীরা সর্বদা চারা উৎপাদনে কৃষকদের এই ব্যাপারে সুপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। বীজের দাম বেশি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তর মূলত কৃষকদের মধ্যে নতুন প্রযুক্তি ও নতুন জাত সম্প্রসারণ নিয়ে বেশি কাজ করে থাকেন। তাছাড়া কৃষকদের ভালো বীজ ও সার ব্যবহার কীটনাশক বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে আমরা বীজের দাম বেশি নিলে বিভিন্ন উপায়ে বীজ বিক্রেতাদের চাপ প্রয়োগ করে থাকি ।
আরএক্স/
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
🕐 প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সদরে ৬২টি পূজা উদযাপন ও মন্দির কমিটির সঙ্গে সদর মডেল থানার উদ্যোগে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের সদর মডেল থানার সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দূর্গাপূজার নিরাপত্তা বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম।
উক্ত মতবিনিময় সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক এসএম মাকছুদুর রহমান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ ও সাধারণত সম্পাদক শ্রী ধনঞ্জয় চ্যাটার্জী, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ সাহা, পৌর শাখার সভাপতি অপূর্ব সাহা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, ও পৌর শাখার সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ৬২ টি পূজা মণ্ডপ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনা মতে প্রতিটি পুজা পূজা মণ্ডপ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
প্রতিবারের ন্যায় তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে এসব কথা জানান তিনি।
আরএক্স/
ভিসা নীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না: শিক্ষামন্ত্রী
🕐 প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি
ভিসা নীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপে নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ভিসা নীতি শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী নিতে বাইরের দেশগুলো খুব আগ্রহী। বাইরের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশী শিক্ষার্থীদের ফি এর উপর নির্ভরশীল।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ভিসা নীতি কোন প্রভাব ফেলবে না। সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচন করবে আর সংবিধান অনুযায়ী সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।”
এর আগে এদিন বেলা ১১টায় ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশের ভাগ্য নির্ধারণ হবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে এ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রকে পুনঃ উদ্ধার করতে হতে হবে: নিতাই রায় চৌধুরী
আগামী ১ অক্টোবর ৫ দিনের এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
জেবি/এসবি
কুয়াকাটায় বর্নাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস
🕐 প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

পর্যটন মেলা ও আলোচনা সভা
বর্নাঢ্য আয়োজনে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও কুয়াকাটা পৌরসভার আয়োজনে পৌরসভা চত্ত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সৈকতের ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন মেলা ও আলোচনা সভা স্থলে মিলিত হয়।
এসময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে তিনদিন ব্যাপী পর্যটন মেলা ও কনসার্টের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে আলোচনা সভায় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার,পর্যটন জোনের ম্যাজিষ্টেড মো. রবিউল ইসলাস, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির বিপ্লব, মহিপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ আসলাম মিয়া,কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ, কুয়াকাটা টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন আনু, হোটেল-মোটেল ঔনার এসোসিয়েশনের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সাইদ মিয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। রেলীতে পর্যটক সহ সকল শ্রেনীর পেশার মানুষ অংশগহন করেন।
আগামী তিনদিন সৈকতের ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মেলা ও কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
আরএক্স/
এবার কুষ্টিয়ায় খেলবে ব্যারিষ্টার সুমন ফুটবল একাডেমী
🕐 প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত
মাদককে না বলুন মাদক মুক্ত সমাজ গড়ুন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলায় অংশগ্রহণ করবে ব্যারিষ্টার সুমন ফুটবল একাডেমী বনাম কুষ্টিয়া সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার একাদশ। একই দিন ওই মাঠেই আর একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা লইয়ার্স ক্লাব বনাম হরিনারায়ণপুর ধুমকেতু ফুটবল একাদশ।
এই দুটি প্রীতি ম্যাচ ঘিরে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে চলছে একটি ফুটবল উৎসব। সরেজমিনে হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায় একদিকে অনেক খেলোয়ার একসাথে প্রাকটিস করছে এবং অন্য দিকে কিছু ব্যাক্তি মাঠ পরিচর্যার কাজ করছে কেউ দেখা যাচ্ছে গোল পোষ্ট নতুন রং দিচ্ছে আবার অন্য দিকে মাঠের এককোণে ডেকোরেশনসহ ২৮ তারিখের ম্যাচ ঘিরে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ চলছে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে। প্রাকটিস করা একজন খেলোয়ার বলেন আমাদের মাঠে অনেক বড় বড় টুর্নামেন্ট এর আগে হয়েছে আমরা মুরব্বিদের কাছ থেকে শুনেছি কিন্তু সেই ফুটবল আমেজ অনেক দিন দেখিনি কিন্তু ব্যারিষ্টার সুমন একাডেমি এই মাঠে আসার জন্য পুরো ইউনিয়নে একটি ফুটবল আমেজ বয়ছে। আমরা সবাই অধীর আগ্রহে আছি যে কবে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও সমগ্র ইউনিয়নের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব জায়গায় আলোচিত হচ্ছে ২৮ শে সেপ্টেম্বরের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ নিয়ে। এছাড়াও আশপাশের ইউনিয়নের সমস্ত জায়গায় মাইকিং করতে দেখাগেছে,তাছাড়াও সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যারিষ্টার সুমন একাডেমী কুষ্টিয়া আসার খবরটি কিছুদিন আগে প্রচার হয়েছে।
ব্যারিষ্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম কুষ্টিয়া ম্যাচের আয়োজক এবং হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের ফুটবল প্রশিক্ষক ও ক্রিয়াপ্রেমী সমাজসেবক আব্দুল বারী বিশ্বাসের বড় ছেলে ঢাকা সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি বিপু বিশ্বাস।
বিপু বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবীগণ শরীরচর্চা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, মাদক মুক্ত দেশ গঠন, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং সুস্থ বিনোদনের জন্য ফুটবল খেলে থাকি। ইতোমধ্যে ২০২২ সালে মরক্কোতে আইনজীবীগণের বিশ্বকাপ (মুন্ডিয়াভোকেট) টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে, এবং স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আইনজীবীগণের মধ্যে ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল এর বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দিই এবং সাতটি জেলায় ঢাকা লইয়ার্স ক্লাব প্রীতি ফুটবলে অংশগ্রহণ করেছে, তাহারই ধারাবাহিকতায় আমার নিজের গ্রাম ও ইউনিয়নে এই আয়োজন।”
হরিনারায়ণপুর ধুমকেতু ফুটবল একাদ্বশের কোচ ও প্রশিক্ষক শিবপুর গ্রামের প্রবীন খেলোয়ার ও আওয়ামীলিগ নেতা আব্দুল বারী বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি এই খেলা নিয়ে বলেন, “আমার বড় ছেলে বিপু বিশ্বাস দীর্ঘদিন এই মাঠে খেলা করেছে এবং খেলাপ্রেমী ওর কর্মসূত্রে ব্যারিষ্টার সুমনের সাথে পরিচয় ও ব্যারিষ্টার সুমনের সাথে ও দেশের বাইরেও খেলতে গেছে। এই সূত্রে ব্যারিষ্টার সুমনের টিম আসছে এবং ঢাকা লইয়ার্স ক্লাবও খেলতে আসবে ওদের ওখানে অনেক নামিদামি খেলোয়ার আছে তাদের সাথে আমাদের ছেলেরা খেললে ভালো খেলা শিখতে পারবে এবং ভবিষ্যতে এখান থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়ার আসবে।”
ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক ও হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো ফারুক হোসেন বলেন আমরা হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নবাসী ব্যারিষ্টার সুমন একাডেমীর খেলা দেখার জন্য অপেক্ষায় আছি এবং এই খেলার মাধ্যমে আমাদের ইউনিয়নের সুনাম ও পরিচিতি পুরো দেশের কাছে পৌছে যাবে এই জন্য পরবর্তীতে আমরা ইউনিয়নের যুব সমাজকে খেলায় আগ্রহী করে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমান যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে ফিট থাকতে খেলার কোন বিকল্প নেই, সেই সাথে ২৮ তারিখের প্রীতি ম্যাচ দেখার জন্য এবং ব্যারিষ্টার সুমনের ফুটবল খেলা উপভোগ করার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।
এ খেলা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সভাপতি মো. মহি উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হরিনারায়ণপুরে বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত ফুটবল একাডেমী ব্যারিষ্টার সুমন একাডেমী আমাদের এখানে খেলতে আসছে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া, আমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলিগ, যু্বলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগের সমস্ত কর্মীরা এই ম্যাচটি যেনো সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে পরিসমাপ্তি হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
জেবি/এসবি
ঈশ্বরগঞ্জে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সভাপতি-খায়ের, সম্পাদক সুমন
🕐 প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

সভাপতি-খায়ের, সম্পাদক সুমন
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটিতে মো. আবুল খায়েরকে সভাপতি ও জুনায়েদুল ইসলাম। ভূঁইয়া সুমনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের আহবায়ক এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার মোহাম্মদ রাহাত ও যুগ্ম আহবায়ক আখেরুল ইমাম সোহাগ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ৭১ সদস্যের ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অনুমোদন দেন। সদ্যঘোষিত কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মো. আবুল খায়ের ও জুনায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া সুমন দুজনই বিগত ২০১৯ সালে ঘোষিত উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটিরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন এ কমিটি অনুমোদনের ফলে দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল।
অনুমোদিত কমিটির বাকি পদগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, সহ-সভাপতি- মোঃ আজাদ হোসেন ভূঁইয়া পলাশ, আনোয়ারুল গণি ভূঁইয়া (রানা), আতাউল করিম খান (উজ্জল), মো. মোশাররফ হোসেন, মো. মজিবুর রহমান (বাচ্চু), মোঃ সফিকুর রহমান মোহন, মো. মাসুদ তালুকদার। যুগ্ম সম্পাদক- মো. আবু সাঈদ, কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাতেন, মো. আবু রায়হান। সাংগঠনিক সম্পাদক- মো. আনিছুর রহমান আনিছ, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, মো. রফিকুল ইসলাম রুবেল, মোঃ কামাল হোসেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মঞ্জুর মোর্শেদ। দপ্তর সম্পাদক- নাঈমুর রহমান হিমেল। অর্থ সম্পাদক- মো. জালাল উদ্দিন। শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক- মো. শহীদুল ইসলাম। ত্রাণ সম্পাদক- মোঃ আবুল হাসান। সমাজকল্যাণ সম্পাদক- মো. রাকিবুল হক রায়হান। সাংস্কৃতিক সম্পাদক- সফল দাস। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক- মাহবুবুল আলম ঝিনুক। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক- মোঃ সাইদুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ সারোয়ার আলম। ক্রীড়া সম্পাদক- আল-আমিন আকন্দ। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- হানিফুজ্জামান। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- মার্জনা আক্তার। উপ-প্রচার সম্পাদক- এরশাদুল হক হৃদয়। উপ-দপ্তর সম্পাদক- অনিক রায়।
উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- নুসরাত আরা প্রিয়া। সহ-সম্পাদক- মোঃ কামরুল ইসলাম সায়েম, মোঃ শহীদুল্লাহ শহীদ, মোঃ আব্দুল মালেক, মোঃ রুহুল আমিন, আরিফুজ্জামান আকন্দ মুন্না, ফজলুল হক, শাহিন আলম, মোঃ হেলাল উদ্দিন ফকির, মোহাম্মদ তোয়ারিকুল ইসলাম (তানিম)। সদস্য- মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ শাহজাহান কবির, মোঃ এমদাদুল হক, মোঃ জসিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ আমিনুল হক সজীব, মোঃ নাজমুল হক সেলিম, রেজা আলী মুনসুর, হাতেম আলী, আহম্মেদ হোসেন ভূঁইয়া (মাসুম), মোঃ মোজাম্মেল হক রতন, নিলয় হাসান নয়ন, আরিফ হোসেন ভূইয়া (নিঝুম), মোঃ মোস্তফা, মোঃ রবিন মিয়া, মোঃ রফিকুল ইসলাম রবি, মোঃ আশরাফুল আলম, ঈমাম হোসেন ইমন, মাহবুবুর রহমান, তুষার মন্ডল, মোঃ সবুজ মিয়া, মোঃ আল-আমিন, মোবারক হোসেন খাঁ লিমন, মাহাবুবুর রহমান লিটন, মোঃ জাকারিয়া, মোঃ রাকিব মন্ডল, প্রমুখ।
আরএক্স/