সাতক্ষীরায় ধান দিয়ে তৈরি প্রতিমা নজর কাড়ছে সবার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৫৩ অপরাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৩


সাতক্ষীরায় ধান দিয়ে তৈরি প্রতিমা নজর কাড়ছে সবার
ধান দিয়ে তৈরি প্রতিমা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজাকে ঘিরে সাতক্ষীরার ব্যতিক্রমী ধানের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে দূর্গা, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুরসহ ১৮টি প্রতিমা। চিনিগুঁড়া ধান দিয়ে নকশাঁ করা প্রতিমা এবারই প্রথম এই জেলাতে।


কলারোয়া পৌরসভার মুরারিকাঠি গ্রামের উত্তরপাড়া পালপাড়া শারদীয় দূর্গাপূজা মন্দিরে দেখা মিলবে চিনিগুঁড়া ধানের সুনিপুণ কারুকাজে নির্মিত এই প্রতিমা।


এদিকে, পূজা শুরু না হলেও প্রতিদিন জেলা ও জেলার বাইরে থেকে সহস্রাধিক দর্শনার্থী পূজা মণ্ডপে ভিড় করছেন বলে জানান আয়োজকরা।


সরেজমিনে মুরারিকাঠি উত্তর পালপাড়া দুর্গাপূজা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সোনালি রঙের চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮টি প্রতিমা। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, প্রতিমাগুলো সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে।


আয়োজকরা জানান,  দূর্গা, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুরসহ আনুষঙ্গিক ১৮টি প্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ, পাট, নকশি কাপড়ের পাড় ও  কাঠামো তৈরি করা হয়। পরে মাটি ও বিশেষ শৈল্পিক কারুকাজ হিসেবে চিনিগুঁড়া ধান ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু অংশে ব্যয়বহুল রং স্প্রে করা হয়েছে, যা প্রতিমাগুলোর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়েছে।


মন্দির কমিটির সদস্য শম্ভু কুমার পাল জানান, চারজন প্রতিমা শিল্পী নিয়ে মাস খানেক সময় লেগেছে এই প্রতিমা তৈরিতে। খরচ হয়েছে এক লক্ষ টাকারও বেশি। চিনিগুঁড়া ধান লেগেছে ১০০ কেজির মত। পূজার আগে থেকে এখানে ব্যাপক লোকসমাগম শুরু হয়েছে। যেটা পূজার সময় আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান তিনি। এজন্য এই মন্দিরে আরও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।


সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সাতক্ষীরার ৬৬৫ টি পূজা মণ্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরাসহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রাখার জন্য জেনারেটর রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, জেলার সকল পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকবে। প্রতিটা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা থাকবে। আর পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা জেলার প্রতিটা মণ্ডপে প্রশাসনের নজরদারি থাকবে। সার্বক্ষণিকভাবে মণ্ডপগুলোতে আনসার, গ্রামপুলিশসহ পুলিশের একাধিক দল টহলরত থাকবে।


আরএক্স/