পূজা মণ্ডপে পয়জনিং ছিটানোর সময় আনসার সদস্য আটক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০০ অপরাহ্ন, ২৪শে অক্টোবর ২০২৩


পূজা মণ্ডপে পয়জনিং ছিটানোর সময় আনসার সদস্য আটক
ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মন্দিরে খাবার প্রসাদ তৈরি করা ঘরে ক্ষতিকর ফুড পয়জনিং পদার্থ ছিটানোর সময়  আজহার আলী নামে এক আনসার সদস্যকে আটক করে মন্দিরের ভক্তরা। সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালের বুড়ির দিঘী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ঘটনা ঘটে।


পরে ধীরে ধীরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মন্দিরের সকল ভক্ত মন্ডলীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে। এসময় পূজা অর্চনা ও প্রসাদ গ্রহন বন্ধ রাখে ভক্তরা। পরে বিকালের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিবেশ শান্ত হয়। অভিযুক্ত ওই আনসার সদস্য একই উপজেলার পাশ্ববর্তী কালিস্থান এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে।


অভিযোগ উঠেছে, দুর্গাপূজা ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যে মন্ডপে ডিউটিরত আনসার সদস্যের সহায়তায় খাবার প্রসাদে ফুড পয়জনিং পদার্থ মিশানোর চেষ্টা করেন মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি সুমন্ত কুমার।


জানা গেছে, ওই মন্দির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক সভাপতি সুমন্ত কুমার রায় ও বর্তমান সভাপতি চিত্ররঞ্জন রায়ের মধ্যে  বিরোধ চলে আসছে। সুমন্ত কুমার সভাপতি নির্বাচিত না হওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবারের দুর্গাপূজাকে ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে মন্ডপে কর্তব্যরত আনসার সদস্যের সহায়তায় একটি বোতলে ফুট পয়জিনিং পদার্থ খাবারে মেশানোর ষড়যন্ত্র করে। সোমবার সকাল ছয়টার দিকে সুমন্ত কুমার মন্দিরের প্রধান ফটকে  প্রবেশ করে দায়িত্বরত  আনসার সদস্য আজহার আলীকে ডেকে নেয় এবং তার হাতে একটি বোতলে কিছু তরল পদার্থ দিয়ে রন্ধন শালা ও প্রসাদ যেখানে মজুদ করা হয় সেখানে ছিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলে। পরে আনসার সদস্য তার কথামতো রন্দন শালা ও প্রসাদ রাখার ঘরে সেই তরল পদার্থ ছিটাতে থাকেন। এমন সময় মন্দিরের ভক্ত লোকজন দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পূজা উৎযাপন কমিটির  সদস্য প্রদীপ কুমার বাবুলকে বিষয়টি জানায়। পরে পূজা কমিটি  আনসার সদস্য আজহারকে অবরুদ্ধ করে থানায় খবর দেয়।এরপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল হক ও আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে এসে  অভিযুক্ত আনসার সদস্যকে জনসম্মুখে  জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।  এক পর্যায়ে আনসার সদস্য আজহার আলী সবকিছু স্বীকার করেন।  

 


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার জানান, মন্দির কমিটি নিয়ে সৃষ্ট ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করছেন। জব্দকৃত তরল পদার্থের বোতল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


উল্লেখ্য, বহুদিন থেকে ওই মন্দিরের বর্তমান সভাপতি চিত্তরঞ্জন  ও সুমন্ত কুমারের সমর্থকদের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  ঘটনা মামলা পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।


জেবি/এসবি