মুহূর্তেই মোটরসাইকেল গায়েব করে দিত তারা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রতিদিন মুন্সিগঞ্জ থেকে তারা ঢাকায় আসেন মোটরসাইকেল চুরি করতে। টার্গেট শুধু ঘাড় লক করা মোটরসাইকেল। একটি গাড়ি চুরি করতে তাদের সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। চোরাই মোটরসাইকেল নিয়ে তারা আবারও চলে যান মুন্সিগঞ্জে। দালালদের মাধ্যমে কয়েক হাত হয়ে তা চলে যায় ক্রেতার কাছে। ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং তিনজনকে গ্রেফতারের পর এই চক্রটি সম্পর্কে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা। অনেকেই বাইরে মোটরসাইকেল পার্কিং করে ভেতরে যান। তখন দুই চাকার এই বাহনটির ওপর নজর পড়ে চোরদের। কোন মোটরসাইকেলে লক ঠিকমতো করা হয়নি তা মোবাইল ফোনে জানিয়ে দিয়ে সটকে পড়ছেন ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যান আরেকজন।
প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কী পরিমাণ মোটরসাইকেল চুরি হয় তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্রাণ্ডের ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। মোটরসাইকেল চুরির কৌশল, পরে তা দালালদের মাধ্যমে কীভাবে কয়েক হাত ঘুরে চলে যাচ্ছে ক্রেতার কাছে পুরো প্রক্রিয়াটি তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।
মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন চোর চক্রের তিনজন। পার্কিং করা মোটরসাইকেল পর্যবেক্ষণ করেন একজন। শুধু ঘাড় লক করা আছে এমন মোটরসাইকেল খুঁজে বের করেন আরেকজন। গ্রিন সিগন্যাল পেলে মূল চোর এসে কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে লক ভেঙে পালিয়ে যান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (গুলশান বিভাগ) মশিউর রহমান বলেন, গুলিস্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ঢাকা মেডিকেল, ধানমন্ডি লেক ছাড়াও যাত্রাবাড়ি, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ও গাউছিয়া এলাকায় তৎপর মুন্সিগঞ্জকেন্দ্রিক এ চোর চক্রটি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, চোরাই মোটরসাইকেল কেনার জন্য রয়েছে তাদের নির্দিষ্ট দালাল ও ক্রেতা। সহজে চোর শনাক্তে পুরো রাজধানীতে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা।
এসএ/