ঢাকা কলেজের ১৮২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০৪ অপরাহ্ন, ২০শে নভেম্বর ২০২৩


ঢাকা কলেজের ১৮২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ঢাকা কলেজের ১৮২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি।

আল জুবায়ের: বর্ণাঢ্য র‌্যালিসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের (ডিসি) ১৮২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 


সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল দশটায়  কলেজের ক্যাম্পাস থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে সাইন্সল্যাব-নিউমার্কেট-নীলক্ষেত হয়ে ঘুরে আবারও প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।


এতে সকল বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। কর্মসূচিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছবি তোলাসহ বিভিন্ন আনন্দে মেতে ওঠেন। একে অপরের সাথে মিলেমিশে উৎসবমুখরভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন তারা।


র‌্যালি শুরুর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল অর্পন করা হয়। এরপর  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কলেজের মূল ভবনের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর  কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। 

 

প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে তিনি বলেন,ঢাকা কলেজ সবসময় আবার আবেগের জায়গা কেননা আমি ঢাকা কলেজে দীর্ঘদিন ছিলাম অধ্যক্ষ হিসেবে। আজকে ঢাকা কলেজের জন্মদিন, সকল বিভাগের শিক্ষক,ছাত্র,কর্মকর্তা-কর্মচারী, সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায় আমাকে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত দেওয়ার জন্য।


তিনি আরও বলেন, ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের প্রথম সরকারী কলেজ।ঢাকা কলেজ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জড়িত।  আজকের যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তা ঢাকা কলেজের আত্নত্যাগের ফসল। আশা করি, ঢাকা কলেজ সবসময় তাদের দেশের এক নং এ থাকবে। ১৮৪১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের এক নং কলেজ।ভবিষ্যতে ঢাকা কলেজের ছেলেরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে বলে মনে করি। 


প্রসঙ্গত, 'নিজেকে জানো 'মূলমন্র দিয়ে শুরু করা উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। ১৮৪১ সালের ২০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৮২ বছরের পথচলায় সাক্ষী হয়েছে বাঙালির অনেক ইতিহাসের।


১৮২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণিল আলোয় সেজেছে ক্যাম্পাস। গত দুদিন ধরেই ১৮৩তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।শত বাঁধা পেরিয়ে হাঁটি হাঁটি পায়ে এগিয়ে চলেছে, তবে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে তেমন কোনো অবকাঠামোগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় নি, ক্লাস-রুম সংকট আবাসন সংকট,পরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় এখনও জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানটি।দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও এই উপমহাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ পথচলায় মেধাবী তরুণদের স্বপ্নের ক্যাম্পাসের নাম ঢাকা কলেজ। তারা এখানে স্বপ্ন নিয়ে আসেন মেধার বিকাশ ঘটাতে যে আলোক বর্তিকায় আজও আলোকিত ঢাকা কলেজ। 


বর্তমানে মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়নরত। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০টি বিষয়ে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু রয়েছে। সেগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, প্রাণীবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পরিসংখ্যান, হিসাববিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, অর্থনীতি, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ, দর্শন, আইসিটি।

 

শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধায় রয়েছে নয়টি বাস। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধায় রয়েছে আটটি ছাত্রাবাস। সেগুলো হলো- উত্তর ছাত্রাবাস, দক্ষিণ ছাত্রাবাস, পশ্চিম ছাত্রাবাস, আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাস, শহীদ ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাস, দক্ষিণায়ন ছাত্রাবাস ও শহীদ শেখ কামাল ছাত্রাবাস।


আরএক্স/