ম্যাসেঞ্জারে মন্তব্য নিয়ে মারামারি করে হাসপাতালে দুই বান্ধবী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ম্যাসেঞ্জারে মন্তব্য নিয়ে মারামারি করে হাসপাতালে দুই বান্ধবী

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় ও বন্ধুত্বের পর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মন্তব্যের অমিলের জের ধরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুই বন্ধবীর (শিক্ষার্থী) মধ্যে ধস্তা-ধস্তি-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরের দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে ওই দুই বান্ধবী। এর আগে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে পৌরশহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন বকুর চাতালে তাদের মধ্যে মারামারি ও ধস্তা-ধস্তির ঘটনা ঘটে।

আহত দুই শিক্ষার্থী হল, একই উপজেলার বরকাতপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে স্থানীয় গ্রিনফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসতুরা রহমান মেধা (১৪) ও পৌরসভা শহরের জামালপুর গ্রামের আব্দুল মোতাল্লিব সরকার বকুলের মেয়ে ঢাকা রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মোহানা আক্তার (১৮)।

আহত মাসতুরা রহমান মেধা জানান, সে পলাশবাড়ী পৌরশহরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের খালা মেহেবুবা সুলতানার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। মোহানার সঙ্গে তার ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূত্রে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ হয়। তাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিলে মোহনা আক্তার বস্তির মেয়েসহ রূঢ় ভাষায় নানা কমেন্ট করে। পাল্টা-পাল্টি কমেন্টে এতে উভয়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে মেধা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন দীপঙ্কর স্যারের কাছে প্রায়ভেট পড়তে যায়। সে সময় মোহনা সেখান গিয়ে প্রাইভেট রুম থেকে মেধাকে জোর করে টেনে বের করে বাইরে এনে মারপিট করে। এতে বাধা দিতে গিয়ে আঘাত লেগে মোহনার নাক কেটে যায়। মেধার অভিযোগ, খবর পেয়ে মোহনার বাবা মোতাল্লিব সরকার বকুল ও মা শিমুলী বেগম সেখানে উপস্থিত হয়ে মেধাকে এলোপাতারি মারপিট করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মেধার বাবা বাদী হয়ে মোহনা ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত মোতাল্লিব সরকার বকুল বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে ধ্বস্তা-ধস্তির এক পর্যায়ে আমার মেয়ে মোহনার নাক কেটে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে আমিসহ আমার স্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।

এ ব্যাপারে প্রাইভেট শিক্ষক দীপঙ্কর জানান, মঙ্গলবার বিকেলে প্রাইভেট পড়ানো অবস্থায় অনুমতি সাপেক্ষ মোহনা মেধাকে বাইয়ে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তারা মারামারি করে উভয়ে আহত হয়।

পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আজমিরা জেমি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আহত দুই শিক্ষার্থীকে এখানে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ায় বুধবার দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।  

এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়েছে। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মারামারির ঘটনায় অভিভাবকের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

এসএ/