শীতের চাদরে ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১৯ অপরাহ্ন, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৩


শীতের চাদরে ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়
ছবি: জনবাণী

শীত প্রধান জেলা পঞ্চগড়। বেশ কয়েক বছরের মধ্যে গোটা কার্ত্তিক মাস ছিল ভিন্নতর। শীতগরমের লুকোচুরি খেলা। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলাটিতে পর্বত শৃঙ্গার ‘কাঞ্চন জঙ্ঘা’ দেখতে আসে দেশের দূরদুরান্তের পর্যটকরা। কিন্তু শীতগরমের লুকোচুরিতে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যায়। 


তবে এমন আবহাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে কখনো কখনো ‘কাঞ্চন জঙ্ঘা’ উত্তরের আকাশে নিজ আলোয় উদয় হয় পর্বতটির। এতে অনেক পর্যটকরা পর্বতটি দেখতে পেয়ে খুশিতে অবস্থান করেন পঞ্চগড়ে। আবার কেউ কেউ দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান। চলছে হেমন্তকাল। ভরা কার্ত্তিকে শীত দেখতো এ এলাকার মানুষ। 


আরও পড়ুন: শীতের সময় শিশুর বিশেষ যত্ন নিন


এসময়টায় থাকতো শীতল বাতাস। কখনো কখনো বইতো শৈত্য প্রবাহ। অথচ পুরো কার্ত্তিক মাসটাই ছিল দিনে গরম রাতে শীতের প্রভাব। আবার কখনো রাতে কখনো শীতের অনুভতি আবার গরমের রেশ। 


বৃহষ্পতিবার (৭ডিসেম্বর) ভোরে হঠাৎ করেই টিপ টিপ বৃষ্টি ঝড়ে সারা পঞ্চগড়ে। আকাশ থাকে মেঘে ভরা। ফলে এমনিতেই শীতে অনেকটাই প্রভাব ফেলে পরিবেশে। এই আবহাওয়ায় মানুষ অনেকটাই শীতের আমেজ পেতে শুরু করে।


শনিবার সারাদিন আকাশ ছিল মেঘাছন্ন। আগেরি দন মাঝে মাঝে রোদ উকি দিলে শনিবার ছিল অনেকটাই ব্যতিক্রম। এই দুইদিন বৃষ্টিপাত না হলেও শীতে অনেকটাই কাহিল এনে মানুসের শরীরে।


আরও পড়ুন: শীত ও নিম্নচাপ: সুস্থ থাকতে যা করণীয়


পঞ্চগড় শহরের পুরাতন পঞ্চগড় এলাকার বাসিন্দা। অটো চালক মো. আলম বলেন ‘ভাড়া নাই‘ বৃষ্টিপাত আর শীতের কারনে মানুষ শহরে আসা কমে গেছে। লোকজন নাই। বাস শ্রমিক রিয়াজ উদ্দীন বলেন‘ বাসে ভাড়া নাই ‘একদিকে অবরোধের প্রভাব অন্যদিকে বৃষ্টি আর শীত। তারপরও চলতে হয় ‘যতটুকু আয় হয় ‘তা দিয়ে চলতে হবে। স্টেশনারী দোকানদার সাইদুর রহমান বলেন‘দুই দিন ধরে বেচাকেনা কমে গেছ।


এদিকে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন ‘শনিবার অস্থায়ী ভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশে হাল্কা থেকে মাঝারী আকারে কুয়াশা পড়তে পারে। 


তিনি আরো জানান রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে‘ কিন্তু দিনের তাপমাত্র অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার তেতুঁলিয়ায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।এ বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ মিলিমিটার।


আরএক্স/