পিআইসির কাজে ধীরগতি, ঝুঁকিতে আলমখালি বাঁধ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পিআইসির কাজে ধীরগতি, ঝুঁকিতে আলমখালি বাঁধ

মাটিয়ান হাওরের ৬৩নং পিআইসির কাজ ধীরগতিতে চলছে। ৮দিন পেরিয়ে গেলেও  এখনোও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ পিআইসির আলমখালির ক্লোজার বাঁধ। ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যে বাঁধের কাজ সমাপ্ত করার শেষ দিন হলেও ৮দিন পরেও চলছে বাঁধে মাটি ফেলার কাজ। ড্রেসিং, প্যালাসাইটিং সহ বাঁশ কাটার কাজ কবে হবে তা নিয়ে কৃষকদের মনে রয়েছে সংশয়। সেই সাথে চলতি মার্চ মাসের শেষ দিকে পাহাড়ি ঢলের আগাম বন্যার আশংকা তো রয়েছেই।

সরজমিনে মাটিয়ান হাওর ৬৩ নং পিআইসির আলম খালি বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধে মাটি ফেলা হচ্ছে। এভাবে  ধীর গতিতে মাঠির কাজ  চলতে থাকলে বৃষ্টি বাদল শুরু হলে বাঁধটি আরও হুমকিতে পরবে। সেই সাথে আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকবে হাজারো কৃষকের ৬ হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে রোপণকৃত বোরো ফসল।

জানা যায়, সরকারের বেঁধে দেয়া ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার ও কাজের প্রাক্কলতি মূল্য ২৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৮৪ টাকার চুক্তিতে প্রকল্পের কাজ নেন কাউকান্দি গ্রামের আইন উদ্দিন। প্রকল্প পাওয়ার পর থেকেই পিআইসি সভাপতি আইন উদ্দিন ইচ্ছে মত মাটির কাজ শুর করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি যেখানে বাঁধের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার কথা সেখানে আজ ৮দিন পেরিয়ে গেলেও মাটি ফেলার কাজ করছেন তিনি। এ ভাবে ধীর গতিতে কাজ করতে থাকলে কবে মাটির কাজ শেষ হবে, কবে প্যালাসাইটিং এর কাজ শুরু হবে তা জান নেই কৃষকদের।

মাটিয়ান হাওর পারের  বড়দল, কাউকান্দি ও রতনশ্রী গ্রামের একাধিক কৃষক জানান,  পাহাড়ি ঢলের পানি নামলে প্রথমে এ বাঁধটি ঝুঁকিতে পরে। এবারে পিআইসির ঢিলেমিতে এখনো কাজ শেষ না হওয়ায় অত্যন্ত ঝঁকিতে রয়েছে বাঁধটি। একাধিকবার এ বাঁধটি ভেঙ্গে মাটিয়ান হাওরের বোরো ফসল হানি হয়েছে। 

মাটিয়ান হাওর পারের বড়দল গ্রামের কৃষক মাসুম আহমেদ বলেন, মাটিয়ান হাওরের মধ্যে আলম খালি বাঁধটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছর এবাঁধটি নিয়ে আমরা কৃষকরা ঝুঁকিতে থাকি তবে দুঃখের বিষয়   বাঁধটিতে এখনো মাটি ফেলার কাজেই শেষ হয়নি।

এ বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি আইন উদ্দিনের সাথে কথা বলতে গেলে সংবাদকর্মী পরিচয় দেওয়াতে ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দেন। পরে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ তাহিরপুর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সেলিম বলেন, মাটিয়ান হাওরের আলমখালি বাঁধের মাটির কাজ দু একদিনের মধ্যে শেষ হবে। পরবর্তীতে ড্রেসিং ও পেলাসাইটিং এর কাজ করা হবে। 

হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় সংসদ ( হাওর বেস্টিত ৭ জেলা) এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, আমি তাহিরপুর উপজেলার বৃহৎ দুটি হাওর মাটিয়ান ও শনি হাওরের বাঁধ আমি সর জমিন ঘুরেছি। এর মধ্যে মাটিয়ান হাওরের আলমখালি বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি আরও জানান, বিষয়টি তিনি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন।

বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সভাপতি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবির বলেন, বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব করায় ইতি মধ্যে দু’একজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। মাটিয়ান হাওর আলমখালি বাঁধের প্রকল্প সভাপতিকে বলেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে।

এসএ/