প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার শূন্যে নামাতে: বিএসএমএমউর উপাচার্য


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, ১২ই ডিসেম্বর ২০২৩


প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার শূন্যে নামাতে: বিএসএমএমউর উপাচার্য
ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছেন এক শিশুকে।

সারা দেশের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকের বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল প্রচারাভিযান ও শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। 


মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্হিবিভাগ-১ এর তৃতীয় তলায় ইপিআই সেন্টারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে শিশু বিভাগ। এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।


আরও পড়ুন: কৃষির মত স্বাস্থ্য গবেষণাও এগিয়ে নিতে চাই


এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যে সকল শিশু ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খায়, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এতে অনেক শিশু সুস্থ থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী  উদ্যোগ বাস্তবায়নের কারণে এ দেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার অনেক কমেছে। তাঁর উদ্যোগের ফলে মায়েদের শতকরা মৃত্যু হার ৭৫ ভাগ এবং শিশুদের শতকরা মৃত্যু হার ৭১ ভাগ কমেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টা করছেন এসব মৃত্যু শূণ্যের কোটা নামিয়ে আনতে।


উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে আরেকটি উপকার হয়েছে। আগে বছরে রাতকানা রোগীর সংখ্যা ছিল  ৩০ হাজার। সেটি এখন কমে ১০ হাজারে নেমেছে।


আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে আবারো নির্বাচিত করতে হবে


এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, টেকোনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রি. জে. ডা. রেজাউর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলজি) ডা. মো. রাসেল, শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মোজ্জামেল হক, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


মঙ্গলবার ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের  ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তাদের মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে দেওয়া হবে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। আর ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে দেওয়া হবে লাল রঙের ক্যাপসুল। তবে অসুস্থ শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।


আরএক্স/