দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ ডিগ্রি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৩


দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৩ ডিগ্রি
ছবি : সংগৃহীত

উত্তরের জেলা গুলোতে বাড়তে শুরু করেছে শীত তাই তাপমাত্রা আরো কমেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে। পঞ্চগড়ে সকালে রোদ উঠলেও বেড়েছে শীতের দাপট।


বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। 


আরও পড়ুন: উত্তরাঞ্চল কাঁপছে শীতে, তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি


তাপমাত্রা কমে আসায় অনুভূত হচ্ছে হাড়কাঁপানো কনকনে শীত। সকালে আবহাওয়ার এ তথ্যটি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।


জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে হাঁড়কাপানো শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান চালক থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।


গ্রামীণ নারীরা জানান, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত ঠান্ডায় বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালীর কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা বন্ধ হয়ে আসে।


আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় উত্তরের জনজীবন বিপন্ন


চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।


এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। 


তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি পঞ্চগড়ের মৌসুমের সর্বনিম্ন। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।


জেবি/এজে