দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৩


দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
ছবি : সংগৃহীত

দেশের উত্তরাঞ্চল কাঁপছে শীতে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। টানা তিনদিন ধরে পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহের এ ধারাবাহিকতায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তার আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টানা তিন দিন ধরেই এ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।


সোমবার ( ১৮ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে জানান, রবিবারের চেয়ে তাপমাত্রা কমে এখন ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে (৮-১০ ডিগ্রি) এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হয়। রবিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার একই সময়ে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। 


আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে


সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই ভোরে আলোর কিরণ ছড়িয়ে দেখা মেলে সূর্যের। তবে রোদ উঠলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে। রুটি-রুজির সন্ধানে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সকাল কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।


গ্রামের নারীরা জানান, কুয়াশা কম থাকলেও খুব ঠান্ডা। রাতে টিনের ঘরগুলোতে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালী করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।


শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচন্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা।


আরও পড়ুন: কুয়াশায় ঢাকা উত্তরের জনপদ


অন্যদিকে, শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।


জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।


জেবি/এজে