ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পঞ্চগড়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩


ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পঞ্চগড়
ফাইল ছবি

উত্তরের হিমাঞ্চল জেলা পঞ্চগড় আবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে। এ কুয়াশার সাথে বইছে হিমেল ঠান্ডা হাওয়া। কুয়াশার কারণে আবারও জনসাধারণের জীবনে নেমেছে স্থবিরতা।


শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার সময় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই এলাকায় শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, গত দুই দিন ধরেই তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি ঘরে আছে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ১২ থেকে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রির ভিতরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 


গ্রামীণ এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়ে আছে দেশের এ প্রান্তিক জেলা। কুয়াশার কারণে এ সীমান্ত জনপদে আবারও নেমে এসেছে স্থবিরতা। জীবন জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষগুলো কাজে বের হলেও শহরের অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহিরে বের হচ্ছেন না। তবে শীতকে উপেক্ষা করেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে ও নির্বাচনী সভা করতে রীতিমত ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা।  


স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) হঠাৎ করে আবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সকালে এরকম কুয়াশা চোখে পড়েনি। তবে হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা না থাকলেও হিমেল হাওয়ার কারণেই বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে শরীরে।


ভ্যানচালক আজহারুল, আরশেদ আলী ও হামিদ বলেন, কয়েকদিন ঝকঝকে রোদের পর আবার কুয়াশা দেখা দিল এ এলাকায়। ঘন কুয়াশার কারণে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। তারা অটোরিকশা করে যান। এজন্য কামাই কম হয় কুয়াশা থাকলে।


পাথর শ্রমিক  জামাল ও সাইফুল জানান, যদিও বছরের শেষ সময়টাই চা পাতার কাজ কমে গেছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) আবার হঠাৎ করে কুয়াশা পড়েছে। তবে কি আর করব বসে থেকে, কাজের  বেরিয়েছি।


অন্যদিকে শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে কিছুটা তাপমাত্রা কমেছে। ঘন কুয়াশা বেড়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ১৬ ডিসেম্বর থেকেই একাধারে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে পঞ্চগড়ে। এ জেলা হিমালয় এলাকার নিকটবর্তী অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত বেশি এবং একটু আগে থেকেই শুরু হয়। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে এখানে। তবে আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে।


এমএল/