আনোয়ারায় মশা মানছে না মশারি, অতিষ্ঠ জনজীবন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


আনোয়ারায় মশা মানছে না মশারি, অতিষ্ঠ জনজীবন

একসময় বলতে শোনা যেতো, রাতে মশা, দিনে মাছি, এই নিয়ে ব্যস্ত আছি। আস্তে আস্তে এ প্রবাদটি মিথ্যায় রূপ নিচ্ছে। কারণ এখন দিনে ও রাতে সবসময়ই মশা ও মাছির ভনভনানী শুনতে হয়। মশা নিয়ে এখন অতিষ্ঠ পুরো চট্রগ্রামের আনোয়ারাবাসী। মশার উপদ্রব বৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আনোয়ারাবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে ওষুধ ছিটানো শুরু হলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এতে মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন আনোয়ারাবাসী। 

সম্প্রতি মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে  জীবন। বাসা-বাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ সর্বত্র মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, স্প্রে সবকিছুই মশার কাছে হার মানছে। উপজেলায়  ময়লা আবর্জনা বাসা-বাড়ি ব্যবসায়ী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। এতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বাসা-বাড়িতে মশা প্রবেশ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে।

চাতরী ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আবুল মনছুর  বলেন, মশার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। ঘরোয়াভাবে মশা নিধন করা যাচ্ছে না। এতে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় দুপুরের পর থেকে বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।

মুদি দোকানী নাজিম উদ্দীন জানান, মশার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। ঘরোয়াভাবে মশা নিধন করা যাচ্ছে না। এতে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি রয়েছে। তিনি জানান, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় দুপুরের পর থেকে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, মশার কামড়ে মানুষের মাঝে নানা রোগ ছড়ায়। তাই এলাকায় নিয়মিত মশকনিধন কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা খুব জরুরি।

এসএ/