রাজধানীর ঐতিহ্য আম্বর শাহ মসজিদ ভুলতে বসেছে অনেকেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৫ অপরাহ্ন, ৯ই জানুয়ারী ২০২৪
শাহাদাৎ হোসেন লাভলু: রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাঝস্থান অবস্থিত প্রায় ৪ শত বছরের পুরনো খাজা আম্বর শাহ মসজিদ। এই স্থাপনাটি দিন দিনই রাজধানী বাসির দৃষ্টির আড়ালে চলে যাচ্ছে। অথচ কারওয়ান বাজারের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই ঐতিহাসিক স্থাপনা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ঐতিহ্য- খাজা আম্বর শাহ মসজিদ ইংরেজি ১৬৮০ সালে ঢাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি খাজা আম্বর শাহ প্রতিষ্ঠা করেন। চোখে পড়ে আম্বর শাহ মসজিদ এলাকার, সবচেয়ে পুরনো স্থাপনা বলে মনে করেন ইতিহাস বিদরা।
আরও পড়ুন: বাবা এখনো জানেন না ছেলে আর বেঁচে নেই
মোঘল শায়েস্তা খাঁ‘র আমলে এখানকার সরাইখানায় পথিক আসতো বিশ্রাম নিতে। তাদের অনেকেই এই মসজিদে নামাজ আদায় করতো। মসজিদটির নির্মাণশৈলী বেশ আকর্ষণীয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট কালো পাথরের তৈরি মেহরাব। মূল মসজিদটি আকারে ছোট হলেও, এর সৌন্দর্য নজর কাড়ে মুসল্লিদের।
আম্বার শাহ মসজিদের মূল ভবনের উপরে শোভা পাচ্ছে তিনটি গম্বুজ। এগুলো বাড়িয়েছে স্থাপনার বাইরের দিকের সৌন্দর্য। মসজিদের শিলা লেখাটি অনুবাদ করেছিলেন বিখ্যাত ভাষাবিদ ঢাকা কলেজের এক সময়ের শিক্ষক হরিনাথ দে। তার মতে–মোঘল আমলে বাংলায় ব্যাপক উন্নতি হয়। ওই সময় নির্মিত হয় অনেক স্থাপনা আম্বর শাহ মসজিদও সেগুলোর একটি।
সময়ের পরিবর্তনে বিভিন্ন সময় সংস্কারের কারণে, মসজিদটির অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছ। এর পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি, আশপাশের স্থাপনার কারণে এখন সরাসরি দৃষ্টিগোছর হয় না প্রায় চার বছরের পুরনো আম্বর শাহ মসজিদের মূল স্থাপনা।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ওয়ার্ডে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে: তাপস
চারশ বছরের ঢাকা আর দুইশ বছরের কারওয়ান বাজারের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত আম্বর শাহ মসজিদটি। ঢাকার প্রাচীনতম মসজিদের তালিকায় আম্বর শাহ মসজিদের অবস্থান ২২তম। গবেষকরা বলছেন, বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের শেকড় অনুসন্ধানে এই স্থাপনাটি হয়ে উঠতে পারে আরো বেশি সৌন্দর্য।
এখনো পর্যন্ত খাজা আম্বর শাহ মসজিদ এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে মসজিদে খাদেম নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হচ্ছে এই মসজিদটি, খাজা আম্বর শাহ মসজিদ পাঁচ তলা বিশিষ্ট প্রতিটি কাতারে ৭৩ জন মানুষের উপরে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করতে পারে এবং প্রতিটি কক্ষে ৩৩ টি করে কাতার রয়েছে, খাজা আম্বর শাহ মসজিদে স্থানীয়দের ধারণা মতে ১২ হাজারের উপরে মুসল্লিগণ একসাথে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারে।
আরএক্স/