সূর্যের দেখা নেই

পঞ্চগড়ে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫০ অপরাহ্ন, ১১ই জানুয়ারী ২০২৪


পঞ্চগড়ে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
পঞ্চগড়ে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশা। ছবি: জনবাণী

টানা চারদিনের কনকনে শীতে পঞ্চগড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিমের বাতাসে শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে।


তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ডিগ্রি সেলসিয়াস।এরপরথেকে তাপমাত্রা সিঙ্গেল ডিজিট থেকে বেড়ে দুই ডিজিটে ওঠানামা করলেও শীত কমেনি।চারদিন ধরে মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহের সাথে ঘনকুয়াশায় ঢেঁকে পড়ছে এলাকা।


বৃহস্পতিবার (১১জানুয়ারি) তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ জানুয়ারি সর্বনিম্নতাপমাত্রা ছিল  ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে শীতের দাপটে কাঁপছে মানুষ


তবে ৭ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই দিন তাপমাত্রা কম থাকলেও পরের কয়দিন প্রচন্ড শীত অনুভূত হয়। বুধ ও বৃহষ্পতিবার সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে আগের দিনগুলিতে সূর্যের উকিঝূঁকি ছিল  এবং ছিল না ঘনকুয়াশার তীব্রতা।

 

চারদিনের মাথায় মাঝরাতে টিপ টিপ করে কয়াশা পড়তে থাকে। সকালে ও থাকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা জনপদ।  বুধ ও বৃহস্পতিবার সারাদিন ছিল শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়শা। শির শির বাতাসে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়ছে।


আরও পড়ুন: দিনাজপুরের তাপমাত্রা নামলো ৯ ডিগ্রিতে


এদিকে শীত নিবারণে জেলার সড়কের পাশে ও জনবহুল হাটবাজারে শীত নিবারণে মানুষকে খঁড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।  পাথর ও চা পাতা তোলা শ্রমিকরা নদী ও জমিতে কাজে গেলেও সংখ্যা কম।


তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন‘ আকাশ মেঘে ঢাকা থাকছে, বাতাস ওবেড়ে গেছে সূর্যের দেখা নাই’ এসব কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। জানুয়ারি মাস এভাবেই চলবে। কারণ শীতকাল এটা স্বাভাবিক ।


আরএক্স/