সরিষা ক্ষেতে দর্শনার্থীদের চাপে কৃষকদের মাথায় দুশ্চিন্তার ভাজ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২৪


সরিষা ক্ষেতে দর্শনার্থীদের চাপে কৃষকদের মাথায় দুশ্চিন্তার ভাজ
হলুদ ফুলে সেজে ওঠেছে মাঠের সরিষার ক্ষেতগুলো। ছবি- জনবাণী

প্রকৃতিপ্রেমী বাঙালির কাছে শীতের আবহাওয়া একটু অন্যরকম। তারই মাঝে দিগন্তজোড়া হলুদ রঙের সরিষা একেকটি ক্ষেত যেন হলুদের চাদরে মোড়ানো ভালোবাসা।


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মিরুখালি ইউনিয়নের শহীদের পোল এলাকায় হলুদ ফুলে সেজে ওঠেছে মাঠের  সরিষার ক্ষেতগুলো। মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে হলুদের বিশাল সমারোহ। কুয়াশা ও ঝলমলে রোদের খেলা এখন দিগন্ত বিস্তৃত হলদে বরণ সরিষার ফুলে ফুলে। সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন ঘুরতে আসা মানুষজন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে স্থানীয় কৃষকদের। কারণ চলনবিলে ঘুরতে এসে অধিকাংশ মানুষজন ছবি তোলার জন্য সরিষা ক্ষেতের মধ্যে নেমে পড়ছেন। এতে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।

 

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি ) বিকেলে সরজমিনে দেখা যায়,   সরিষা ক্ষেতের মধ্যে ১০ জন থেকে ১৫জন বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলছেন।দর্শনার্থীদের চাপে সরিষা ক্ষেতের অনেকটা এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ফুল ফোটার আগেই পদদলিত হয়ে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে বেশ কয়েকটি প্লট।


মিরুখালি ইউনিয়নের শহীদের পোল এলাকার কৃষক জাকির হাওলাদার বলেন, লোকজন হাইহিল ও বুট জুতা পড়ে সরিষার ক্ষেতের মধ্যে ছবি তোলার জন্য রীতিমতো হুমরি খেয়ে পড়েন। তখন পায়ের নিচে পড়ে সরিষা গাছ ভেঙে যায় ও গাছ থেকে ফুল ঝড়ে যায়। নিষেধ করলেও শোনেননা।অনেকের ভয়ে কথাও বলতে পারিনা আমি এ বিচার চাই 


স্থানীয় বাসিন্দা সমাজকর্মী আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর আমাদের গ্রামে জাকির হাওলাদার সহ অনেক কৃষকই সরিষা চাষ করে থাকেন।আশেপাশের উপজেলা গুলোতে তেমন সরিষার চাষ না থাকায় প্রতিবছর এখানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে।দূর দূরান্ত থেকে আগত  দর্শনার্থী দেখে আগে ভালো লাগতো তবে এখন কৃষকদের  জন্য খারাপ লাগছে তারা ছবি তোলার কথা বলে অনেক সরিষায় নষ্ট করে ফেলে এখনই একটি জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। 

 

মিরুখালি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া দৈনিক "জনবাণী" কে জানান,মিরুখালিতে প্রতিবছর বছর প্রায়  ১০ একর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়।সরিষার ক্ষেতে ছবি তোলার সময় অধিক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ক্ষেতের আইলে দাড়িয়েও ছবি তোলা যায়।