পণ্যের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘নিরাপদ খাদ্য (বিজ্ঞাপন ও দাবি) প্রবিধানমালা, ২০২৪’ এর খসড়া উপস্থাপন ও অংশীজনের মতামতগ্রহণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) প্রশিক্ষণ কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬টি অনুচ্ছেদ সম্বলিত এ প্রবিধানমালা মোতাবেক কোন ব্যক্তি খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপনে অসত্য তথ্য প্রদান করলে, বিজ্ঞাপনের ভাষা কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করলে, অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করলে কিংবা সমজাতীয় খাদ্যপণ্যকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দাবি করলে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের শর্ত, পুষ্টি সংক্রান্ত দাবির শর্ত, লবণ অসংযোজন সংক্রান্ত দাবি, সংযোজন দ্রব্যের ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্যাবলি, স্বাস্থ্য সহায়ক দাবি, নিষিদ্ধ দাবি সংক্রান্ত বিষয়াবলি, চিনির অসংযোজন সংক্রান্ত দাবি, বিজ্ঞাপন বিষয়ক অভিযোগ নিষ্পত্তির সংক্রান্ত এবং প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করলে কী কী শাস্তি পাবে তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন প্রচার করলে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণাৎভাবে উক্ত বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধ করার এখতিয়ারের বিষয়েও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গড় আয়ু বাড়াতে নিরাপদ খাদ্যগ্রহণের আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। তিনি সংশ্লিষ্ট কমিটির সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অংশীজনের মতামতকে প্রবিধানে অর্ন্তভুক্ত করার কথা বলেন।
কর্তৃপক্ষের সদস্য নাজমা বেগমের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ'র সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন,‘বিভ্রান্তিমূলক বা অমূলক বিজ্ঞাপন বন্ধের উদ্দেশ্যেই এ প্রবিধানমালা করা হচ্ছে। ভোক্তার প্রকৃতির উপর নির্ভর করে তাদের দাবির বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া কোডেক্সের নীতিমালাও অনুসরণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিআই পণ্য নিয়ে তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রফেসর রাজিয়া বেগম, অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আলোচক হিসেবে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এই প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন হবার পর যাতে কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে এবং ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাদ্যপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত হয়ে তাদের মতামত প্রদান করেন এবং কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত মতামতসমূহ প্রবিধানমালায় অর্ন্তভুক্তির বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্তৃপক্ষের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব নাজনীন আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন জনাব শেখ মোঃ ফেরদৌস আরাফাত, আইন কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
জেবি/এসবি