প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন- ভূমি মন্ত্রী জাবেদ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন- ভূমি মন্ত্রী জাবেদ

ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, মাদক একটি বড় ধরনের সমস্যা। এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাদকের বিরুদ্ধে সর্বত্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে।


 সরকারী-বেসরকারী গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদকের কুফল ও ভয়াবহতা সম্পর্কে  সচেতনতাসহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে যেমন বলেছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে, ঠিক তেমনই মাদকের বিরুদ্ধেও ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। মাদক পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও সচেতনতার মাধ্যমে মাদকের অপব্যবহার সহনমীল পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।  ১৫ মার্চ  মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোডস্থ পর্যটন হোটেল সৈকতের সাঙ্গু ব্যাঙ্কুয়েট হলে আয়োজিত “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন” বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করেন।


তিনি বলেন, কিছু মাদক মেডিকেলে রোগীদের কাজে ব্যবহার করা হয়। ফেনসিডিল ও গাঁজা থেকে মাদকের সূত্রপাত বলে মনে হয়। যারা ফেনসিডিল খায় তারা এখন ইয়াবাসহ অন্য মাদক সেবন করে। বড় লোকের ছেলেদের কীসের টেনশন? তারা সকালে উঠে বাবার হোটেল খাচ্ছে। তারা ফ্যাশনের জন্য মাদকসেবন করেন। আনোয়ারা-বাঁশখালী রোড ব্যবহার করে একসময় মাদক পাচার হতো। এখনো বিভিন্ন রোড ব্যবহার করছে। প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় এ ধরনের কর্মশালা করতে হবে। ইন্টারনেট এসেছে, সেটার কারণে মাদক ব্যবহার কম হচ্ছে। আমি ফেসবুক পছন্দ করি না। কাজে কর্মে যারা আছে তারাও ব্যবহার করছেন। যাদের প্রয়োজন নেই, তারও ব্যবহার করছেন। 


 মন্ত্রী আরও বলেন, একসময় আমরা টেলিভিশনের ওপর নির্ভর করতাম। এখন আমরা সেটা করছি না। এখন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে জানতে পারছি। আমাদের আগামী প্রজন্মকে মাদকমুক্ত গড়ার জন্য প্রত্যেকের অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করে যেতে না পারলে এই দেশ সোমালিয়া হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা জননেত্রী শেখ হাসিনা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। গত ১৩ বছর এদেশ এগিয়ে গেছে। দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাব হয়েছে। তবে দক্ষদের চাকরি আছে, তাদের চাহিদা আছে।


বাংলাদেশ সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা করা হলে দিন ও রাতের পার্থক্য হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। 
পাকিস্তানের সঙ্গে এত পার্থক্য হবে, কেউ স্বপ্নে ভাবেনি জানিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, বাংলাদেশ যে শক্ত মজবুত জাতি হিসেবে দাঁড়িয়েছে তা বিশ্ব স্বীকৃত দিয়েছে। এটা সরকারের ধারাবাহিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। পাকিস্তানের টাকার মান আমাদের চেয়ে অনেক কম। 

জি আই/