দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ অবৈধ সরকারের বিপক্ষে: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৭ অপরাহ্ন, ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকারের বিপক্ষে’।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, “গত ৭ই জানুয়ারি গণবর্জিত ডামি নির্বাচনের পর দেশ এক গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। চিহ্নিত কতিপয় পুলিশ, আমলা, আর সরকারি দলের টাকা পাচারকারী সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্র ছাড়া দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকারের বিপক্ষে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ব্যতীত প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। মানুষের জান-মাল ও জীবন-জীবিকার কোনো নিরাপত্তা নেই। নারী-শিশু নির্যাতন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।”
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক যা বললেন আমীর খসরু
রেজভী বলেন, “দলীয় নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িত। তবে নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না।”
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার সিদ্দিককে শনিবার রাত আনুমানিক ১০টা ২০ মিনিটের সময় চালতেঘাটা বাজার থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা সাদা রঙের নোহা মাইক্রোবাসে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় মেম্বার জাফর আলীসহ বাজারের দোকানদাররা বাধা দিলে তারা বলেন, আমরা ডিবির লোক। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমান যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান ও যুবলীগ নেতা উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন।”
আরও পড়ুন: অচিরেই মানুষ বুঝতে পারবে কেন এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি: জি এম কাদের
তিনি বলেন, “জুলফিকার সিদ্দিককে তুলে নেওয়ার ১০ মিনিট পর তার মোটরসাইকেলটি ছাত্রলীগ নেতা উজ্জ্বল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জুলফিকার সিদ্দীকের মা শ্যামনগর থানায় গিয়ে খোঁজ করলে ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাকে ডিবি তুলে নিয়ে গেছে। এখনও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমি অবিলম্বে জুলফিকার সিদ্দীককে জনসম্মুখে হাজির করে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।”
পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, “২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঠান্ডামাথায় সুপরিকল্পতভাবে বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মাত্র একদিনে এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা হত্যার নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসেও এতসংখ্যক সেনা কর্মকর্তাকে প্রাণ দিতে হয়নি।”
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও এমন বর্বরোচিত ঘটনার আজ পর্যন্ত বিচার সম্পন্ন হয়নি। বরং বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞের দায়ে যাদের কারাগারে থাকার কথা ছিল তারাই এখন অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। অথচ বছরের পর বছর ধরে কারাগারে বিনা বিচারে মানবেতর জীবনযাপন করছে শত শত বিডিআর সেনা।’
জেবি/এসবি