হাওরের কান্দা বিলীন, কৃষি ও প্রাণ বৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


হাওরের কান্দা বিলীন, কৃষি ও প্রাণ বৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি

সুনামগঞ্জ জেলাধীন ধর্মপাশা ও মধ্যনগর দুই উপজেলার হাওরগুলোতে বিলীন হতে চলেছে উঁচু কান্দা। সংকটে পরেছে হাওর পাড়ের কৃষকের গবাদিপশু পশুপালের চারন ভূমির। নষ্ট হচ্ছে ধান মাড়াই ও শুকানোর স্থান। পাশাপাশি কিশোরদের চিত্ত বিনোদনের খেলার মাঠে ও বীজতলাতে এর প্রভাব পড়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। 

ধর্মপাশার ফাস্যুয়ার হাওরে বনবাগানের ভিতরে গর্তকরে মাটি নেয়ায় কারণে একাধিক হিজল গাছ গুলিও ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে করে পরিবেশে সমতল ভূমির অসামঞ্জস্যতা তৈরী হচ্ছে। কেউ আবার ঐ গর্ত দখলে নিয়ে তৈরী করছে মাছের প্রজনন ধ্বংসের স্থান। ঐ মাটি দিয়ে তৈরী হচ্ছে হাওরের বোরো ফসল রক্ষার বাঁধ। ফসলকে আগাম বন্যা থেকে রক্ষা করতে  বাঁধের প্রয়োজন অবশ্যই। কিন্তু হাওরের উচু ভূমি থেকে মাটি না কেটে ছোট নালা গুলোকে গভীরতা বাড়িয়ে মাটি সংগ্রহের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করলে হয়তো সবকিছুই ঠিক হতো। তেমনি মৎস আহরণের হতো অভয়ারণ্য। অন্যদিকে কৃষকের মাড়াই কাজে ব্যাবহার হত উচু কান্দাগুলো। হাওর পাড়ের গবাদিপশুর ঘাসের চাহিদা মিঠে বেঁচে থাকতো তৃণভোজী প্রাণীর চারণ ভূমিও। 

এ বিষয়ে হাওর গবেষক সজল কান্তি সরকার জনবাণীকে বলেন, পাহড়ী ঢাল ও কর্তনকৃত গুড়ো পলি মাটির সমন্বয়ে ক্রমেই ভরাট হবে ফসলি জমি। এতে করে কৃষি এবং প্রাণ বৈচিত্রের হবে অপূরণীয় ক্ষতি।

এসএ/