স্ত্রী-মেয়ের মরদেহ নিতে পোল্যান্ড প্রবাসী দেশের পথে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৯ অপরাহ্ন, ২রা মার্চ ২০২৪
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪০) এবং মেয়ে ভিয়াংকা রায়ের (১৭) পোল্যান্ড যাওয়ার স্বপ্ন আগুনে পুড়ে কফিনে বন্দি।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডে খাচ্ছি ভাইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত হয়। মা মেয়ের মরদেহ ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করতে প্রবাসী উত্তম রায় এখন বাংলাদেশে আসার পথে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, জানালেন র্যাবের মহাপরিচালক
উত্তম রায়ের ভাগিনা অয়ন রায় মা মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে বলেন গত বৃহস্পতিবার রাতে মালিবাগ বাসা থেকে মা মেয়ে বেইলি রোডে গিয়েছিলেন কাচ্ছি ভাইয়ে খেতে। খাবার শেষে মা মেয়ে আপন ঠিকানায় ফিরে আসার কথা। কিন্তু সেটি আর সম্ভব হয়নি। আগুনে পুড়িয়ে তাদের স্বপ্ন ছাই করে দিয়েছে।
উত্তম রায় দেশে ফিরে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিমঘর থেকে মা মেয়ের মরদেহ গ্রামের বাড়ি বানেশ্বরপুর গ্রামে নিয়ে আসবেন। শুক্রবার সাড়ে ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা মেয়ের লাশ পরিবারের পক্ষ থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। আগুনের ধোয়ায় স্বাসরোধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
উত্তম কুমার রায়ের ভাই বিষ্ণু রায় জানান, পোল্যান্ডের কুরিয়ার হুন্দাই কোম্পানীতে চাকরিকালীন সময়ে ফিলিপাইন নাগরিক রুবি রায়ের সাথে পরিচয় সূত্রে ১৯৯৬ সালে উত্তম ও রুবিনা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: আগুনে নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেবে সরকার
উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড চলে যাওয়ার পর রুবি রায় তার মেয়ে ভিয়াংকা রায়কে নিয়ে ঢাকার মালিবাগে বসবাস করত। ভিয়াংকা রায় ঢাকা এ লেভেলে পড়াশুনা করত। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বেইলি রোডে কাচ্ছি ভাইয়ে রাতের খাবার খেতে যায়। খাবার শেষে বাসায় ফেরার কথা ছিল।
কিন্তু কাচ্ছি ভাইয়ে অগ্নিকান্ডে মা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঢাকায় গিয়ে মা মেয়ের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত রুবি রায় ও মেয়ে ভিয়াংকা রায় উত্তম রায়ের কাছে পোল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আগুনে পুড়ে গেছে।
আরএক্স/