ডোয়াইলের চেয়ারম্যান স্বপনের বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশের ধর্ষণ মামলা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২৪ অপরাহ্ন, ২১শে মার্চ ২০২৪


ডোয়াইলের চেয়ারম্যান স্বপনের বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশের ধর্ষণ মামলা
ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন - ছবি: প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছে গ্রাম পুলিশ সীমা আক্তার।


বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে জামালপুর নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন তিনি। 


মামলার আসামীরা হলেন- মাজালিয়া গ্রামের মান্নানের ছেলে কামাল ও ডিক্রিবন্দ নাজিম খার ছেলে ডোয়াইল পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন।  মামলাটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ২ এর বিচারক শহীদুল ইসলাম সিআইডি পুলিশকে তদন্তপুর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন।  


আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ীতে অটো বাইকের কমিটি অনুমোদন


জানা গেছে, ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন এর পালিত ক্যাডার কামাল হোসেন ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর গ্রাম পুলিশ সীমা আক্তারকে কুপ্ররোচনা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার স্বামীকে তালাক প্রদান করান। পরে চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন এর নির্দেশে কামাল ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল বাজার এলাকার আয়নাল হাজীর হাফ বিল্ডিং বাসায় ভাড়া নিয়ে তাকে থাকতে দেয়৷  এরপর থেকেই সীমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে প্রতিনিয়ত।  সীমা আক্তার কামালকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে তিনি ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনকে অভিযোগ জানালে  জানুয়ারির ২২ তারিখে চেয়ারম্যান স্বপনের স্ত্রী ডিক্রিবন্দ মাদ্রাসায় থাকায় গ্রাম পুলিশ সীমাকে ডেকে নিয়ে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার  শিমলা বাজার গণময়দান মাঠের শাহীন স্কুলের ৫ম তলা বিল্ডিং এ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন সীমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। সীমা চেয়ারম্যান এর অধীনে চাকরি করায় চাকরির ভয়ে এতো মুখ খোলেনি। গত ৫ মার্চ আবারো কামাল বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সীমাকে ধর্ষণ করে৷  গত ১৪ মার্চ কামাল সীমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সীমা বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।


পরে স্থানীয় লোকজন সীমাকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে সীমা কিছুটা সুস্থ হয়েই ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত /৩ এর ৯ (১) /৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং - ৪২/২০২৪। 


আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ীতে ৩৮ দিনেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি


এ বিষয়ে সীমা আক্তার জানান,  আমার সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনা গুলার বিচার চাই। চেয়ারম্যান স্যার ও কামাল আমাকে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে। আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি কেউ খোজ নেয় নাই।  আমি বিচার চাই। 


এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 


এ দিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইউসুফ আলী জানান, কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।


জেবি/এসবি