বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, এসআই শ্রীঘরে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, এসআই শ্রীঘরে

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চগড়ের এক নারীর দায়ের করা মামলায় কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। 

রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে এসআই জলিল পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পন করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। 

এসআই জলিল এর আগে পঞ্চগড় সদর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৩ জানুয়ারী এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হাজির হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক নারী।  সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা করিয়ে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন। পরে ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩ জানুয়ারি (রবিবার) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মাদ শাহরিয়ার বলেন, এসআই জলিল ছুটিতে আছে। তার মামলা মোকদ্দমার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

এসএ/