ঝিনাইদহে মাশউকের প্রকল্প এলাকায় বিনামুল্যে সনোফিল্টার বিতরণ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, ২৬শে জুন ২০২৪


ঝিনাইদহে মাশউকের প্রকল্প এলাকায় বিনামুল্যে সনোফিল্টার বিতরণ
ছবি: প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের মহেশপুর মাশউক প্রকল্প কার্যালয় চত্বরে ‘সাসটেইনেবল প্রিভেনশন অফ আর্সেনিক পয়জনিং ইন মহেশপুর সাব ডিসট্রিক্ট, ‘ঝিনাইদহ ডিসট্রিক্ট’ প্রকল্পের মহেশপুর উপজেলার আর্সেনিক আক্রান্ত ও ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে আর্সেনিক মুক্তকরন ‘সনোফিল্টার’ বিতরণ করা হয়।


বুধবার (২৬ জুন) বেলা ১১ টার সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর মাশউক প্রকল্প কার্যালয় চত্বরে বিনামুল্যে সনোফিল্টার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।


এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহেশপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান। বিতরন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার তৌহিদুল করিম।


অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আকতারুজ্জামান, সিএসপি, মাশউক প্রকল্প অফিস, মহেশপুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মো. আবুল হাসনাত, এসএফটি মাশউক প্রকল্প অফিস, মহেশপুর। প্রকল্প এলাকার উপকারভোগী ও কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ।


আরও পড়ুন: পুকুরে ফেলা গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারে অভিযান


অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো হাসানুজ্জামান বলেন, মাশউক যে কাজ করছে তা অতি প্রশংসার যোগ্য। আমরা ডিপিএইচ থেকে জরিপ করে দেখেছি মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক আছে, বিশেষ করে ফতেপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের শতভাগ টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক আছে। আমরা কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে ডিপিএইচ থেকে ১৩০০ ফুট গভীর নলকুপ স্থাপন করেও আর্সেনিকমুক্ত পানির ব্যবস্থা করতে পারিনি। সেক্ষেত্রে বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা মানব শক্তি উন্নয়ন কেন্দ্র (মাশউক) ঐ এলাকায় আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য আর্সেনিকমুক্তকরন সনোফিল্টার বিনামুল্যে সরবরাহ করে অনেক বড় মহতি কাজ করছে। 


তিনি বলেন, আর্সেনিক একটি নিরব ঘাতক যা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এ থেকে বাঁচার জন্য আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি পান করা প্রয়োজন। বাজারে যে বোতলজাতকরণ পানি পাওয়া যায়, যার হাফ লিটার পানির দাম ২০টাকা। আর এটা সকলের দ্বারা কিনে পান করা সম্ভব নয়। আর্সেনিক রোগ প্রতিরোধের জন্য আজ পর্যন্ত কোন মেডিসিন আবিষ্কার হয়নি। আর্সেনিক রোগ থেকে প্রতিকারের একমাত্র উপায় আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি পান করা। আয়রন পানি সহজে কিভাবে আইরন মুক্ত করা যায় সে বিষয়ে তিনি বলেন, আয়রনযুক্ত পানি যদি কোন পাত্রে ছয় ঘন্টা রেখে দেওয়া হয় তবে আয়রন নিচে চলে যায় সে ক্ষেত্রে আপনারা উপরের পানি ব্যবহার করতে পারেন। পানি ফুটিয়েও আয়রন মুক্ত করা যায় কিন্তু আর্সেনিক মুক্ত করা সম্ভব হয় না। তিনি সকলকে নিজ নিজ টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করে তারপর পানি ব্যবহার ও পান করার জন্য আহবান করেন।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিষধর সাপের কামড়ে মহিলার মৃত্যু


তিনি আরও বলেন, মাশউক এর দেওয়া আর্সেনিক মুক্তকরণ সনো ফিল্টার পানিতে থাকা সব ধরনের ক্ষতিকারক এবং বিষাক্ত পদার্থগুলোকে সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসে যা ব্যবহার ও পান করার উপযোগী। পরিশেষে তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সমাপ্ত করেন। সর্বশেষে সভাপতি, প্রধান অতিথি ও অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে আর্সেনিক মুক্তকরণ সনোফিল্টার বিতরণ করার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।


এমএল/