লালমনিরহাটে ধরলা নদীর শহর রক্ষা বাঁধে ধস

সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়
বিজ্ঞাপন
লালমনিরহাটে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে শহর রক্ষা বাঁধে ধস শুরু হয়েছে। শঙ্কায় রয়েছে ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
সোমবার (৮ জুলাই) লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শিমুলবাড়ী ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা নদীর পানি। সেই সঙ্গে মোগলহাট-ওয়াপদা বাজার শহর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এর আগে, রবিবার (৭ জুলাই) লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ধরলার পানি বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, সকাল ৬টায় ১৮ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৪০ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৩৯ সেন্টিমিটার, বিকাল তিনটায় ৩৮ সেন্টিমিটার, সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
বিজ্ঞাপন
ধরলা নদীর তীরবর্তী ও পাশে থাকা মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজার থেকে মোগলহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের লালমনিরহাট শহর রক্ষা বাঁধটিতে ধস দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা বাঁধ পরিদর্শন করলেও কোনও প্রকার কাজ শুরু করেননি।বাঁধটি ভেঙে গেলে লালমনিরহাট শহর ও বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হবে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানায় গত কয়েকদিন থেকে বাঁধে ধস দেখা গিয়েছে। এই বাঁধ যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়বে। যদি পানি লোকালয়ে ঢুকে যায় তাহলে কৃষি জমিসহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। পাশাপাশি অনেক পরিবার পানিবন্দি হবার আশঙ্কা রয়েছে। এ পযন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ এখানে আসেনি।
বিজ্ঞাপন
মোগলহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে দেড় হাজার পরিবারের তালিকা দিয়েছি। ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পেয়েছি। এর বাইরে কোনও ত্রাণ এখনও পাইনি। বাঁধটিতে ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত কাজ করা উচিত।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, প্রতি বছর বৃষ্টির ও উজানের ঢলের কারণে লালমনিরহাটের প্রধান দুটি নদী তিস্তা ও ধরলা নদীতে বন্যা সৃষ্টি হয় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিপাতে কারনে আমাদের তিস্তার নদী বাঁধ, ধরলা নদীতে যে শহর রক্ষা বাঁধ রয়েছে তাতে রেইনকার্ট ও ভক্সের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা এগুলো তথ্য উদ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট তথ্য প্রেরণ করেছি। তাদের অনুমতি সাপেক্ষে যেখানে যেখানে রেইনকার্ট ও ভক্স হয়েছে আমরা মেরামত করে যাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১শত মেট্রিকটন জিআর চাউল, ৪ শত প্যাকেট শুকনা খাবার ও নগদ ৫লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যানরা বিতরণ করছেন।
এমএল/