আন্ত:বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরে রাজস্ব আয় বাড়ছেনা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪০ অপরাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৪


আন্ত:বাণিজ্যে ব্যাপক ঘাটতি বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরে রাজস্ব আয় বাড়ছেনা
ছবি: প্রতিনিধি

পণ্য আমদানী রপ্তানীতে সম্ভবনাময় বাংলাবান্ধাস্থল বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। দেশের চতুর্থদেশীয় সম্ভনাময় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় আন্ত:বাণিজ্য কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলে চলমান রাজস্ব আয় রের্কড ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে গত বছর সরকার নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ে স্থলবন্দরটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষমতা অর্জন করে। রাজনৈতিক নানা অস্থিরতায় বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরে এবারে সরকারের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান। 


মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) স্থলবন্দরটির কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রাজস্ব আদায় হয় ৬৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তবে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে পূর্বের অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হলেও তা পূরণ হয়নি। এ বছরটিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সেখানে অর্জিত হয়েছে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বিশ্লেষকরা মনে করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূট্রানের ব্যবসায়ী ও সরকারের মাঝে পারস্পরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন জোড়দার করা এখন সময়ের দাবী। কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তাদের মতে বাংলাদেশের রপ্তানী ঠিক থাকলেও আমদানীর ক্ষেত্রটা একমূখী হয়ে থাকায় রাজস্ব আদায় সীমিত হয়ে আছে।


আরও পড়ুন: সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কুড়িগ্রামের পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল


ত্রিদেশীয় সরকার যেমন; ভারত, নেপাল ভূটান বানিজ্য সম্প্রসারণে বহুমূখী উদ্যোগ নিলে এই স্থলবন্দরটির পণ্য আমদানী রপ্তানীতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তো। শুধু রাজস্ব আয় শতকোটিতে থেমে থাকতো না ‘এটি উত্তর উত্তর সাফল্য এনে দিতো এমনটা মনে করেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকগন। চতুর্থদেশীয় স্থলবন্দরটির হচ্ছে এই বাংলাবান্ধা। ভারত, নেপাল, ভূটান এবং চীনকে নিয়ে সম্ভবনার স্থলবন্দর এই ট্রানজিট হলে পরাশক্তি চীন এখনও কোনো সাড়া ফেলেনি। ১৯৯৭ সালে এটি চাল হওয়ার পর শুধু মাত্র নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানী-রপ্তানী শুরু হয়। 


এরপর অনেক টানাপড়েনের পর ২০১১ সালে ভারত ও পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ভূটানের সঙ্গে পণ্য আমদানী-রপ্তানী শুরু হয়। এদিকে বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরটিতে রপ্তানীর ক্ষেত্রটি ঠিক থাকলেও আমদানীর জায়গাটা এখনো হতাশাজনক।


আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ফেনসিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার


স্থলবন্দরটি এখন পাথর আমদানীতে থেমে আছে। জানা যায়, আমদানীর প্রায় শতভাগ আসে পাথর। তবে রপ্তানীতে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক বেশী। তবে হচ্ছে ও তাই। রপ্তানী হয়ে আসছে ব্যাটারী, ও প্রাণ কোম্পানীর প্রডাক্ট গামেন্টসের জুট ও গ্রাসসহ প্রায় ২০ টি বাংলাদেশী পন্য বলে কাস্টমস সূত্র জানায়। বাংলাবান্ধাস্থল বন্দর আমদানী-রপ্তানী গ্রপের সাধারন সম্পাদক কুদরত -ই- খুদা মিলন বলেন ‘আমদানীর প্রায় শত ভাগ পাথর আসে এই স্থলবন্দর দিয়ে। সরকার যদি আন্ত:বানিজ্য বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করেন তবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক সাড়া পড়বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।


এটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। এব্যাপারে বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরের কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার বিষয়ে বলেন দেশের অস্থিথিশীল পরিস্থিতি, ব্যাংকে এলসি জটিলতার জন্য এমনটা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আন্ত:বানিজ্য বাড়ানো হলে রাজস্ব আরো উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে। তিন দেশ থেকে ৯০ শতাংশ বা ৯৫ শতাংশ পাথর আমদানী হচ্ছে। তবে রপ্তানী ঠিক আছে।


এমএল/