সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কুড়িগ্রামের পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৬ অপরাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৪
সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম: শাপলা বিলের সৌন্দর্য দেখতে কার না ভালো লাগে। এ সময় কমবেশি সবাই দেশের বিভিন্ন স্থানে পদ্ম বিলের সন্ধানে থাকেন। তেমনই এক স্থান হলো কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাদারটিলা গ্রামের পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল। যেখানে হাজারো শাপলার অপরূপ সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করছে। গন্ত বিস্তৃত এ পদ্ম বিলের সৌন্দর্য দেখলে মনে হবে যেন,প্রকৃতির বুকে আঁকা এক নকশি কাঁথা। বর্তমানে রৌমারীর পাটা ধোঁয়া শাপলা বিলে ভিড় করছেন পর্যটকরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,পূর্ব পুরুষরা সবাই মিলে এই বিলে পাট চাষ করতেন ও পাট ধুতেন। সেই থেকে এই বিলের নাম হয়ে ওঠে পাটা ধোঁয়া বিল। তবে বিগত ৫ বছর পাট চাষ না হওয়ায় এ বিলে বর্ষার শেষে পানি নেমে যাওয়ার পরপর ফুটতে শুরু করে শাপলা ফুল।প্রতিবছর আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এখানে শাপলার মৌসুম। প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমির মধ্যে জন্ম নেওয়া লাল,নীল ও সাদা রঙের কোটি কোটি শাপলা। এক নজর দেখার জন্য সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নানা বয়সের হাজারো মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এ বিলে ভ্রমণ করতে চাইলে ছোট আকারের নৌকা ভাড়া নিতে পারবেন। সূর্য উদয় ক্ষণে রশ্মি পড়া মাত্রই যেন মন পাগল করা এক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয় পাটা ধোঁয়া শাপলা বিল।
আরও পড়ুন: আরও ২ সপ্তাহ পেছাল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
অটোভ্যান চালক সাইদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন এলাকার মানুষ সকাল-বিকেল অটোভ্যানে করে এ শাপলা বিল দেখতে আসেন। এতে করে আমাদেরও আয় রোজগার হয়। শাপলা বিল দেখে আমাদেরও সেই ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়। গান গেয়ে বিনোদন দেন এমন এক ব্যতিক্রম নৌকার মাঝি রঞ্জু হোসাইন বলেন ,প্রতিবছর এ সময় পাটা ধোঁয়া শাপলা বিলে অনেক ফুল ফোটে। আমার নৌকায় যারা ঘুরতে আসেন তাদেরকে নিয়ে গান গাই আর শাপলা বিলের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াই। তাতে প্রায় প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় হয়। আমারও তাদের সঙ্গে ঘুরতে ভালো লাগে।
ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, এখানে ঘুরতে এসে আমাদের অনেক ভালো লাগলো। কয়েক প্রকার ফুল ফুটেছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। স্থানীয় এলাকাবাসী মোত্তালেব হোসেন বলেন,পাটা ধোঁয়া বিলে কয়েক জাতের শাপলা ফুল ফোটে। যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। বর্তমানে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিড় থাকে ও লাল শাপলায় আর এতেই এ বিল ভোরে ওঠে মানুষের সমাগমে।
আরএক্স/