অভিনব কায়দায় দর্শনা কেরুজ চিনিকলের রড চুরি, চোরদের বাঁচাতে মরিয়া ইনচার্জ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অভিনব কায়দায় দর্শনা কেরুজ চিনিকলের রড চুরি, চোরদের বাঁচাতে মরিয়া ইনচার্জ

দর্শনা কেরুজ চিনিকলে অভিনব কায়দায় আধুনিকায়ন কাজের রড চুরির ঘটনা ঘটেছে। চিনিকলের গেট দিয়ে পালানোর পূর্বেই রডসহ পাওয়ার ট্রলি আটক করে কেরুজ চিনিকলের নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা। তবে নিরাপত্তাকর্মীদের ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের রহিমের ছেলে পাওয়ার ট্রিলার চালক হাবিব। এ চুরির ঘটনা নিয়ে কেরুজ চিনিকল সহ এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

এ চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টারীর দেখভালে থাকা ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা কুষ্টিয়ার নাসির উদ্দিন ও সুপারভাইজার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের বড় দুধপাতিলা (দর্শনা হটাৎপাড়া সংলগ্ন) সবুর বাবুর্চির ছেলে রেজার দিকে। 

চুরির ঘটনার পরে নড়ে-চড়ে বসে কেরুজ প্রশাসন বিভাগ। বুধবার (৩০ মার্চ) কমার্শিয়াল উপ-ব্যবস্থাপক (ব্যাণিজ্যক) বদরুল আলমকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ তদন্ত কমিটি দিন পেরিয়ে রাত হতেই গোপন সংবাদে জানতে পারে কেরুজ চিনিকলের চুরি হওয়া রড আছে সুপারভাইজার রেজার বাড়িতে আছে। তখনই কেরুজ নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা রেজার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় রেজার প্রতিবেশি জিনারুল ও মইদুলের বাড়িতেও তল্লাসী করা হয়। অভিযানে চুরিকৃত ২৮পিচ রড ও ৩ টি প্লেনসিড উদ্ধার করা হয়। 

এ দিকে চিনিকলের মধ্য থেকে পাওয়ার ট্রলির পাটাতনে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত রড চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় কেরুজ নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদের হাতে পাকড়াও হওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া চালক হাবিব ও সুপারভাইজার রেজাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইনচার্জ। তদন্ত কমিটি যাওয়ার আগেই ইনচার্জ নাসির ছুটে যায় রেজার বাড়ি। এরপর সেখানে কেরুজ নিরাপত্তা বিভাগের সদস্য কলিমুল্লাহ, মিরাজুল ইসলাম সহ যখন অন্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মালামাল উদ্ধার করে। তবুও রেজাকে নির্দোষ প্রমাণে মরিয়া হয়ে পড়ে নাসির।

উদ্ধারকৃত মালামাল প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে নেওয়া হলেও কেরুজ নিরাপত্তা বিভাগের উদাসিনতায় এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেরুজ নিরাপত্তা বিভাগের ইনচার্জ মোজাহিদুল ইসলাম ও তদন্ত কমিটির প্রধান বদরুল আলম বলেন, আমরা তদন্ত করছি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেবো। এ তদন্ত শেষে বলা যাবে এ মালামাল চুরির সাথে কে বা কারা জড়িত।   

উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কেরুজ ক্যাম্পাসে আধুনিকায়ন কাজে মালামাল বহন কাজে ব্যবহৃত একটি পাওয়ারট্রিলারে পাটাতনের উপর প্লেন সিড দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরী করা বক্সের মধ্যে করে রড় লুকিয়ে পাচারকালে কেরুজ নিরাপত্তাকর্মী কলিমুল্লাহর হাতে ধরা পড়ে পাওয়ারট্রলির ভর্তি মালামাল। 

এসএ/