দেশের অর্ধশত গ্রামে রোজা রাখা শুরু


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


দেশের অর্ধশত গ্রামে রোজা রাখা শুরু

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মির্জারখিল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশ শাহ্ছুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের ও অনুসারীরা শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন। শুক্রবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তারা তারাবির নামাজ আদায় ও ভোরে সেহেরি খেয়েছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এই দুই দরবার শরীফের অনুসারীরা রোজা রেখেছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মির্জারখিল গ্রামের হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাঁহাগিরি (র.) হানাফী মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনও দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদসহ সকল ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করা হয়। তার উত্তরসূরী হযরত মাওলানা আবদুল হাই জাঁহাগীরির অন্যতম খলিফা চন্দনাইশের শাহ্ছুফি দরবারের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (র.) এর মুরিদ ও অনুসারীরা একই নিয়মে রোজা রাখেন।

চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর আব্বাস পাড়া, পূর্ব এলাহাবাদ, মাইজপাড়া, ছৈয়দাবাদ, হাশিমপুর খুনিয়া পাড়া, পৌরসভার দক্ষিণ হারলা, সাতবাড়ীয়া, বরমা, বাইনজুরী, কেশুয়া, কানাইমাদারী, দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া, ধোপাছড়ি, পটিয়ার হাইদগাঁও, মংলারপাড়া, বাহুলী, কালারপুল, খরনা, সিয়ানপাড়া, বাথুয়া, রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা, লিচুবাগান, কুলুশিয়া, মদুনাঘাট, সাতকানিয়ার বাজালিয়া, ফকিরপাড়া, কেওচিয়া, মির্জারখীল শাহপুর, ঢেমশা, চরতী, বাঁশখালীর গুণাগুরী, মইশ্যাপাড়া, গুয়াজরপাড়া, কালীপুর, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া, সীতাকুণ্ডের রহমতপাড়া, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড এবং হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামের অধিবাসীরা আজ থেকে রোজা রেখেছেন।

এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদরাও আজ থেকে রোজা রাখছেন।

মো. কামাল নামে একজন বলেন, প্রাচীনকাল থেকে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসবগুলো তারা পালন করে আসছে। তিনি সাতকানিয়া মির্জাখিল দরবার শরীফের একজন মুরিদ। তাই তনিও রোজা রেখেছেন।

চন্দনাইশ শাহছুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের মতি মিয়া মনছুর জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। তাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে দরবারে অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেছেন।

এসএ/