বাড়ছে তিস্তার পানি, প্লাবিত হতে পারে ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪
আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে একই সঙ্গে জেলাগুলোর চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টিপাত ও দেশের নদ-নদীর হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে, পরবর্তি দুইদিনে তিস্তা নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী দুইদিন হ্রাস পেতে পারে। অপরদিকে আগামী তিনদিন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বাড়ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পূণর্ভবা, ইছামতি-যমুনা, ঘাঘট ও যমুনেশ্বরী নদী সমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুইদিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানিসমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী একদিন দিন ব্ৰহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তি চারদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে ।
রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুইদিন পর্যন্ত গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে, পরবর্তী একদিন পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুইদিন বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: মেহেদী রাঙানো হাত বাঁধা লাশ হওয়া তরুণীর স্বামী হত্যা মামলায় গ্রেফতার
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, রাজশাহী বিভাগের করোতয়া, আত্রাই, বাঙ্গালী ও ছোট যমুনা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মহানন্দা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পরবর্তী একদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী একদিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
অন্যদিকে সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ মনু, খোয়াই, ধলাই, ভুগাই ও সোমেশ্বরী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে সারিগোয়াইন ও কংস নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী একদিন এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং পরবর্তী দুইদিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, মাতামুহুরী, গোমতী নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে সাঙ্গু নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই সকল নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী দুইদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে, যার ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, গোমতী ও ফেনী নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অপরদিকে হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এমএল/