ফরিদপুরে সওজ’র অভিযান, ৭০ কোটি টাকার জমি দখলমুক্ত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ফরিদপুরে সওজ’র অভিযান, ৭০ কোটি টাকার জমি দখলমুক্ত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ৭০ কোটি টাকার জমি দখলমুক্ত করেছেন ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।

শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার মাইজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বোয়ালমারী পৌরসভার ওয়াপদা মোড় থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাইজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দখল করে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট স্থাপনা গড়ে তোলে। একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধ দখলে থাকা প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় চার থেকে পাঁচ একর জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা।  

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আজিজুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘ওয়াপদা মোড়ে আমাদের একটি ঘর আংশিক ভাঙা পড়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে হাল রেকর্ড অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়াও সবাইকে সমানভাবে দেখা হয়নি। আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে জায়গা দখল করে থাকলেও ওই নেতার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি।’  

অভিযান পরিচালনাকারী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা উপসচিব অনিন্দিতা রায় বলেন, ‘উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ ও মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী শুক্রবার (১ এপ্রিল) ছিল অবৈধ দখলদারদের নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় বুলডোজার দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।’

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (ফরিদপুর সড়ক বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমির সীমানা লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ দখলদার যতো প্রভাবশালী হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে, উপ সহকারী প্রকৌশলী সুমন কর্মকার। 

এসএ/