কুড়িগ্রামে ফিরলো রমনা মেইল ট্রেন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:২৭ অপরাহ্ন, ২২শে অক্টোবর ২০২৪


কুড়িগ্রামে ফিরলো রমনা মেইল ট্রেন
ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ট্রেন রমনা লোকাল ট্রেন। করোনা প্রাদূর্ভাবের কারনে ২০২০ সাল হতে দীর্ঘ সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকা রমনা ট্রেনটি আবারো চালু হওয়ায় কুড়িগ্রামবাসী মনে আনন্দ উচ্ছাস বিরাজ করছে।


সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রমনা মেইল ট্রেনটি কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. বাবলু মিয়া।


আরও পড়ুন: কবজি দিয়ে লিখেও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার


জানা গেছে, করোনাকালীন সময় ২০২০ সালের ১ লা মার্চ কুড়িগ্রাম থেকে রমনা মেইল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে গেলে আর ফিরে আসে নাই। ইঞ্জিন স্বল্পতা, জনবল কম ও করোনাকালীন সময়ে মানুষের মাঝে করোনা প্রাদূর্ভাব ছড়ানোসহ বিভিন্ন কারনে সারা দেশে ট্রেন বন্ধ হওয়ার সময় রমনা মেইল ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে চার বছর পর পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রমনা মেইল ট্রেনটি কুড়িগ্রামের চিলমারী রমনা স্টেশনে পৌছে দুপুর ১.২৫ মিনিটে। ট্রেনটির পৌছার সাথে সাথে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে আনন্দ উচ্ছাস শুরু হয়। পরে ১.৪০ মিনিটে চিলমারীর রমনা স্টেশন থেকে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। 


ট্রেনের যাত্রী মো. আব্দুল বাতেন বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর বন্ধ হওয়া রমনা মেইলটি চালু হওয়ায় আমাদের খুবই উপকার হলো। ব্যবসায় বানিজ্য ও যাতায়াতের জন্য আমাদের আর কষ্ট করতে হবে। 


আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধী প্রজন্ম বলায় নারী প্রভাষকের অনশন 


স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম বলেন, রমনা ট্রেনটি ছিল আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। ট্রেনটি বন্ধ থাকায় আমরা যাতায়াত নিয়ে ভোগান্তিতে ছিলাম। সোমবার (২১ অক্টোবর) ট্রেনটি চালু হওয়ায় আমাদের খুবই উপকার হলো। 


কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. বাবলু মিয়া বলেন, দুপুরে রমনা ট্রেনটি পার্বতীপুর থেকে চিলমারী রমনা স্টেশনে  আসে। ট্রেনটি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করে। কোন প্রকার সমস্যা ছাড়া ট্রেনটি আবার পার্বতীপুরের উদ্দেশ্য চলে যায়। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, সোমবার হতে রমনা মেইল ট্রেনটি কুড়িগ্রাম রমনা-পার্বতীপুর রুটে চলাচল শুরু হলো।এখনো রাস্তা সংস্কারে কাজ চলছে। এছাড়া রমনা নতুন স্টেশন বিল্ডিং, শেড, থাকার রুমসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই বরাদ্দ পাওয়া যাবে।


এমএল/