বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল তিন হাজার হেক্টর বোরো ধান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল তিন হাজার হেক্টর বোরো ধান

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়া হাওড়ের পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে ৮২ গ্রামের বোরো ফসল। এদিকে, নেত্রকোনার হাওড় অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতির মুখে নদী তীরবর্তী আধাকাঁচা ধান। হুমকির মুখে ফসল রক্ষা বাঁধ। শনিবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেঙ্গে যায় নজরখালি বাঁধ। 

কৃষকরা জানান, ‌‌গত দুদিন ধরে হাওড়ের ভেতরে পানি প্রবেশ করছে। কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারেননি বাঁধের ভাঙন। 

বাঁধ ভেঙে প্রায় তিন হাজার হেক্টর বোরো জমি পানিতে তলিয়ে যায়। টাঙ্গুয়ার পাড়ের জয়পুর, গোলাবাড়ি, মন্দিয়াতা, রংচি ও শপনগরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষক হতাশায় দিন পার করছেন। এদিকে টাঙ্গুয়ার ৩টি বাঁধ মেরামতের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

কৃষকরা জানান, “কষ্ট করে ফসল করেছি, এখন সব ফসল তলিয়ে গেছে। ৮২টা গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আমরা কি করে চলবো, কি করে খাবো”

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অন্যান্য বাঁধ রক্ষায় সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছেন তারা।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য যে হাওড়গুলো আছে সেগুলো পরিদর্শন করেছি। হাওড়ের বাঁধগুলো যে কোন মূল্যে রক্ষা করতে পারি, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এদিকে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলায় পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে আধাপাকা বোরো ফসল। ইতোমধ্যে নিন্মাঞ্চলের প্রায় ৫শ’ একর বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। 

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, “যদি এই বাঁধটা ভেঙ্গে যায় তাহলে লাখ লাখ একর জমির ফসল তলিয়ে যাবে এবং কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এসব হাওড় ফসল রক্ষা বাধের বাইরে থাকায় ক্ষতির শিকার হয়েছে কৃষকরা। 

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, “ফসল ঘরে তোলার জন্য প্রত্যেকটা হাওড়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের বাঁধগুলো আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।”

অপরদিকে, নেত্রকোনায় ১৩৪টি ছোট-বড় হাওড় রক্ষায় ১৮২ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এসএ/