ভাঙ্গায় হাত-মুখ বেঁধে বিধবাকে গণধর্ষণ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ভাঙ্গায় হাত-মুখ বেঁধে বিধবাকে গণধর্ষণ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হাত-মুখ বেঁধে এক বিধবাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করন। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি বাবার বাড়ি উপজেলার খাকান্দা গ্রামে বসবাস করছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। ২৮ মার্চ বিকেলে পার্শ্ববর্তী আলেখারকান্দা গ্রামে চাচাশ্বশুরের কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে শ্বশুরবাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। ওইদিন সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির এলাকার দুই যুবক আসাদুল ও আলামিনকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়ির দিকে রওনা হন। পরে পথিমধ্যে তারা আলেখারকান্দা গ্রামের আউড়াবাগ নামক একটি বাগানের কাছে পৌঁছালে ৪ থেকে ৫ জন যুবক তাদের পথরোধ করেন। এ সময় স্থানীয় রুবেল, শাহীন, সজিব, রাকিব, হাসিবুল ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে আসাদুল ও আলামিনকে মারধর করেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারীর হাত ও মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থানে নিয়ে রাতভর দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে বাবার বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী তার পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানান।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তাহসিন জানান, ‘ওই নারী থানা হেফাজতে রয়েছেন। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি নেওয়ার জন্য ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ‘রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে অভিযোগ জানান। তাকে রাতে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে তার অভিযোগ মামলা হিসেবে নেওয়া হয় এবং তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আদালতে পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে এর সত্যতা জানা যাবে। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’

এসএ/