শুল্ক ছাড়েও দাম কমেনি আলু-পেঁয়াজের


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১৭ অপরাহ্ন, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪


শুল্ক ছাড়েও দাম কমেনি আলু-পেঁয়াজের
ফাইল ছবি।

বাজারে স্বস্তি ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও ‘দামের উত্তাপ’ এখনও আগের মতোই। তাতেও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে মেলেনি সুফল; এখনও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বাড়লেও ক্রেতাদের চাহিদা দেশি পণ্যে। এতে সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম।


শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, বাসাবো, যাত্রবাড়িসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতের পাশাপাশি মিশরের পেঁয়াজ মিলছে বাজারে। দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। 


আরও পড়ুন: শুল্ক ছাড়ের পরেও বাড়তি চাল-আলু-পেঁয়াজের দাম


বর্তমানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়; আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকায়। 


ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত বাজার একটু চড়াই থাকবে। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাপ্পি মিয়া জানান, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়। এছাড়া, মিশরীয় পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি থাকলে দাম কিছুটা নাগালে থাকতে পারে।

 

বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা গত মাসের তুলনায় ২১.৭৪ শতাংশ ও গত বছরের তুলনায় ৩৩.৩৩ শতাংশ বেশি।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় কেনা গেলেও এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। তাই খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি বছর মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়ে। এছাড়া, কোল্ড স্টোরেজগুলো থেকে পর্যাপ্ত আলু দিচ্ছে না।


আরও পড়ুন: কমেছে সবজির দাম, চড়া আলু-পেঁয়াজ-চালের বাজার

 

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও কমছে না আলু ও পেঁয়াজের দাম। বাজারে স্বস্তি ফেরাতে নিয়মিত কঠোর তদারকি প্রয়োজন। সাব্বির নামে এক ক্রেতা বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার আলু ও পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এতে বাজারে বেড়েছে পেয়াঁজের সরবরাহ। কিন্তু দামে কোনও তারতম্য ঘটেনি। তাহলে শুল্ক কমিয়ে কি লাভ হলো?

 

জান্নাতুর রহমান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, শুধু শুল্ক কমিয়ে ও আমদানি বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন নিয়মিত মনিটরিং ও অসাধুদের জরিমানার আওতায় আনা।



আরএক্স/