ভারত-বিরোধী নই, সম্মান ও সমতা নিয়ে সুসম্পর্ক চাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৭ অপরাহ্ন, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সমান মর্যাদা ও সম্মানের ভিত্তিতে আমরা ভারতসহ সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমাদের আন্তর্জাতিক নীতি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে খারিজ করা বা সরিয়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।’
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজারে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কট্টরপন্থি মুসলিম সংগঠন এই ধারণা একেবারেই অসত্য। জামায়াত একটি আধুনিক, উদার এবং গণতান্ত্রিক দল, যার ভিত্তি ইসলামিক আদর্শ। আরও একটি কথা মনে করিয়ে দিই, আমরা একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল। বিশ্বের অন্য কোনো রাজনৈতিক সংস্থায় আমাদের প্রতিনিধিত্ব নেই।
জামায়াত আমির বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জোরালোভাবে আবারও বলতে চাই, জামায়াত একটি আধুনিক, উদারপন্থি, গণতান্ত্রিক দল, যার আদর্শ ইসলামের। আমরা সর্বদাই যুক্তিগ্রাহ্য, বাস্তবসম্মত এবং মধ্যপন্থা নিয়ে রাজনৈতিক নীতি নির্ধারণ করি। বিএনপি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী, তারা আমাদের আধুনিক মনোভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অসামান্য সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া রয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে সমদৃষ্টিতে দেখা হয় এবং রাষ্ট্রের সমস্ত নাগরিককে সমান অধিকার এবং মর্যাদার ভিত্তিতে সম্মান করা হয়। জামায়াত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে বিশ্বাসী নয়। আমরা মনে করি ধর্মের ভিত্তিতে দেশবাসীর বিভাজন অপরাধ। হিন্দু বা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসার ইতিহাস জামায়াতের নেই। বরং বিভিন্ন সময়ে জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হিন্দু নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, আমার মনে হয় না পুরোনো আওয়ামী লীগ জমানার সঙ্গে ভারতের নিছকই ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিল। আমরা সবাই জানি, ওই সম্পর্কে কার কী স্বার্থ ছিল। তবে নিজেদের কথা বলতে পারি, আমরা চাই ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে, তবে তা হতে হবে পারস্পরিক সম্মান এবং সমতার মাধ্যমে। পড়শিদের সঙ্গে কার্যকরী এবং বাস্তবোচিত সম্পর্ক উভয় রাষ্ট্রের পক্ষেই সুবিধাজনক। সরকারে এলে সেটাই করতে চাইব।
আরএক্স/