ডুবছে হাওর কাঁদছে কৃষক, সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ডুবছে হাওর কাঁদছে কৃষক, সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ

ডুবছে হাওর কাঁদছে কৃষক, সুনামগঞ্জে হাওর ডুবি দায় কার? এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, অনিয়ম, ব্যাপক দুর্নীতির কারণে ফসল ডুবির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি।

বুধবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে নতুন কোর্ট উকিল বারের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির কার্যকরী-সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি সুখেন্দু সেন, চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়,যুগ্ম সম্পাদক সালেহিন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা। 

বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রহুল আমিন,  সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলী নুর, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল করিম সাইদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদনুর আহমদ, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার দাস, উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন দপ্তর সম্পাদক অরুন চন্দ্র দেব, প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান, সদস্য ফরুক আহমদ, মখলিস মিয়া, শরীফ আহমেদ, কৃষক নেতা নজরুল ইসলাম, অযুদ মিয়া, শহীদ মিয়া, আমিন উদ্দিন, জমির উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বেলেন, সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ হয়নি। শেষ বেলায় এসে তাড়াহুড়া করে বাঁধের কাজ করায় সামন্য বৃষ্টিতেই বাঁধ ভেঙ্গে হাওরের পানি প্রবেশ করছে। বাঁধে দুড়মুজ না করায় বাঁধের নিচ দিয়ে পানি লিক করছে এসব কারণে দুর্বল বাঁধ ভেঙ্গে হাওর তলিয়ে যাচ্ছে। তারা যে সব বাঁধ ভেঙ্গেছে সেব সব পিআইসির সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

তারা অভিযোগ করেন, ডিসেম্বর মাস থেকে আমরা প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম গণশুনানির মাধ্যমে পিআইসি গঠন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু করা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করায়। কিন্ত আমাদের কথা কেউ শুনেনি। আজ কি হলো, এ বাঁধগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য এ কাজের সাথে যারা জড়িত তারাই দায়ী। কৃষকের সর্বনাশের জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এসএ/