পুলিশের বিরুদ্ধে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৫৯ অপরাহ্ন, ৩রা জানুয়ারী ২০২৫


পুলিশের বিরুদ্ধে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ
ফাইল ছবি।

সাভারের আশুলিয়ায় যুবককে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক আনসার সদস্যের গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 


বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে আনসার সদস্যের গোপনাঙ্গে আঘাতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গতকাল বুধবার রাত দু'টার দিকে আশুলিয়ার একটি বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও পড়ুন: শিবচরে পাচঁ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা


অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম আশুলিয়া থানার আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী আনসার সদস্যকে জোরপূর্বক অর্থ প্রদানের চেষ্টা করা হয়।


ভুক্তভোগী আনসার সদস্য হলেন নবীন মিয়া, তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার বনগ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে। এছাড়া অপর ভুক্তভোগী হলেন আশুলিয়া থানার আশুলিয়া ইউনিয়নের রনি মিয়া। 


ভুক্তভোগী আনসার সদস্য নবীন মিয়া  বলেন, 'আশুলিয়া থানার সামনে কথা-কাটাকাটির জেরে আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করে। পরে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে আমাদের টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আপোষ নামায় স্বাক্ষরের চেষ্টা করেন এএসআই জহিরুল ইসলাম। 


তিনি আরও বলেন, মেইন ওসি (আবু বকর সিদ্দিক),তদন্ত ওসি (মোঃকামাল হোসেন) অপারেশন ওসি (মো. আব্দুল বারিক) বলছে যে, সে অন্যায় করেই ফেলেছে আমরা সামাজিকভাবে মিমাংসা করে দেই। আমি আমার ভাই ব্রাদার যারা ছিল সবাই আমরা রাজি হই। এর পর দারোগা আমায় জোর করে স্বাক্ষর নিতে চাইছে।


এছাড়া আশুলিয়ার রনিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন এএসআই জহিরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী রনি বলেন, আমার বাড়ির দুই কলোনিতে শ্রমিক শ্রেণীর লোক ভাড়া থাকেন। রাতে কয়েকজন ভাড়াটিয়া বসে তাশ খেলছিলো। গতকাল রাত ২ টার দিকে আশুলিয়া থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম একজন এসআই ও দুই জন কনস্টেবল নিয়ে আমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। পরে তাশ খেলার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে আমার হাতে ইয়াবা দিয়ে ছবি তোলেন তারা। পরে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। 


আরও পড়ুন: বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহযোগিতায় চিকিৎসা পেলেন শিবচরের ৫ শতাধিক মানুষ


অভিযোগ রয়েছে আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের সামনেই ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো ও আনসার সদস্যদের গোপনাঙ্গে আঘাত করেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম। 


এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পরপরই এএসআই জহিরুলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনার সাথে আশুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তিনি।


আরএক্স/