স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ইবি শিক্ষার্থীদের


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৪ অপরাহ্ন, ৪ঠা জানুয়ারী ২০২৫


স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ইবি শিক্ষার্থীদের
ফাইল ছবি।

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রশাসনিক ভবনে প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। 


শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উভয় গেইটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং আগামীকাল উপাচার্যের সাথে আলোচনার আশ্বাসে তালা খুলে দেন তারা।


আরও পড়ুন: প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


এসময় শিক্ষার্থীদের ইবির স্বাধীনতা, রক্ষা করো করতে হবে; ইবির স্বতন্ত্রতা, রক্ষা করো করতে হবে; জবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; সাস্ট যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; খুবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে; জবি, খুবি বাহিরে, আমরা কেনো গুচ্ছে; সাস্ট গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে; খুবি গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে স্লোগান দিতে থাকেন।


আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেয়ার ফলে দীর্ঘ সেশনজট সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি জগন্নাথ, খুলনা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। আমরা চাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেয়ার মাধ্যমে তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন বন্ধ করবো না।


আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরার আওতায় গোটা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যা আমাদের দাবিও তা। আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি। উপাচার্য আসার পর কথা বলে সমাধান করা হবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় এখন ক্যাম্পাসে নেই। তিনি আজকে আসবেন এবং আগামীকাল বিকেল ৩টায় ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিবো গুচ্ছের বিষয়ে।


আরএক্স/