সীমান্ত আইন লঙ্ঘনে আগ্রাসী বিএসএফ

পাটগ্রাম দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা জোরপূর্বক বেড়া নির্মাণ, উত্তেজনা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৫২ অপরাহ্ন, ১১ই জানুয়ারী ২০২৫


পাটগ্রাম দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা জোরপূর্বক বেড়া নির্মাণ, উত্তেজনা
ছবি: প্রতিনিধি

কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সীমান্তের স্থানীয়দের বাধার পরও কোনো কোনো সীমান্তে বাড়তি জনবল নিয়ে অনেকটা জোর প্রদর্শন করেই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে ভারতীয় বিএসএফ। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বিভিন্ন অংশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: পাটগ্রামে ঘোড়ার হাল চাষে পরিবার চলে বৃদ্ধ মমিনের

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া সীমান্তে। 


সীমান্তবর্তী মুন্সিপাড়ার বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজেদের ভু-খণ্ডের বাইরে এসে দহগ্রাম ও দহগ্রাম ক্লাব পাড়া এলাকার আন্তর্জাতিক পিলারের ৮ বাই ৪১ এস পিলারের অভ্যন্তরে শূন্যরেখা (নো ম্যান্স ল্যান্ড) বরাবর আকস্মিকভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিষয়টি নজরে এলে বিজিবি তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সীমান্তে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। এ অবস্থায় সেখানে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করে সতর্ক নজরদারি করা হচ্ছে। অপরদিকে ভারতের অংশেও অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  



স্থানীয়রা বলছেন, আজ সকালের ঘটনা জানতে পেরে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন। পরে কাজ না করেই ফিরে যায় বিএসএফের সদস্যরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবারও বিএসএফের অধিক পরিমাণ সদস্য ও শ্রমিক নিয়ে ক্ষমতা খাটিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেন। বিজিবি সদস্যরা প্রথমে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে তারা আর বাঁধা দিতে পারেনি এবং বিজিবি বাঁধা না দেয়ায় বিপুল সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে বিএসএফ।  


সরেজমিনে দেখা যায়, সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর আধা কিলোমিটারে প্রায় তিন ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তের উভয় পাশেই সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দুই পাশে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। 


আরও পড়ুন: সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন, বাঁধা বিজিবির


৫১ বিজিবির পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার জামিল আহমেদ বলেন, টহল জোরদারের পাশাপাশি নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।  বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তারা। মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আল দীনেরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 


এসডি/