বিজিবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিএসএফ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫৩ অপরাহ্ন, ১৯শে জানুয়ারী ২০২৫
আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে দিনভর সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরিস্থিতির মধ্যে সংঘাত বন্ধ ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি’র প্রশংসা করেছে বিএসএফ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ আহত
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা মালদা জেলার সুখদেবপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ভারতীয় কৃষক অন্যান্য দিনের মতো আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে তাদের ক্ষেতে যাওয়ার পর এই ঘটনাটি ঘটে।
এই একই সীমান্ত ফাঁড়িতেই কয়েকদিন আগে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় কৃষকরা সীমান্তের ওপারে ক্ষেতে কাজ করা বাংলাদেশী কৃষকদের বিরুদ্ধে ফসল চুরি করার অভিযোগ আনে, যার কারণে উভয় দেশের কৃষকদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। উভয় পক্ষের কৃষকরা ব্যাপক সংখ্যায় জড়ো হতে শুরু করলে এবং একে অপরকে গালিগালাজ ও পাথর ছুঁড়তে শুরু করার পর ঘটনাটি গুরুতর মোড় নেয়।”
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বেশ কিছুক্ষণ হট্টগোল চললেও কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষের ভিডিও স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও প্রচার করেছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হলো বিজয়ী হওয়া : প্রধান উপদেষ্টা
বিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিএসএফ ভারতীয় কৃষকদের এই ধরনের বিরোধ থেকে দূরে থাকতে বলেছে এবং কোনও সমস্যা হলে বিএসএফকে জানাতে বলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে এবং পরিস্থিতির অবনতি রোধে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের এলাকায় (বিজিবি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে চলমান অস্থিরতার মাঝেই শনিবার ফের চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে দিনভর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভারতীয়রাই প্রথমে বাংলাদেশিদের ওপর চড়াও হয় এবং ওই উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী– বিএসএফ একপ্রকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
আরএক্স/